Bangladesh
PM Hasina asks officials to take steps in tackling disaster
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের (এনডিএমসি) বৈঠকে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবেলার জন্য সরকারের উদ্যোগ অব্যাহতভাবে পর্যালোচনা এবং করণীয় বিষয় নির্ধারণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ন্যূনুম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দেশব্যাপী সচেতনুামূলক প্রচার কার্যক্রম চালাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের মাঝে সচেতনুা সৃষ্টি জরুরি। পাশাপাশি দুর্যোগের ক্ষতি ন্যূনুম মাত্রায় কমিয়ে আনতে জাতীয়, প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে যথাসময়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নেুৃত্বে এনডিএমসি’তে মন্ত্রীবৃন্দ, সিনিয়র বেসামরিক কর্মকর্তা এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণসহ সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা এজেন্সিসমূহের প্রধানগণ রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ মোকাবেলায় কি ব্যবস্থা নিতে হবে সে বিষয় সকলকে অবহিত করতে সরকারের দুর্যোগ সম্পর্কিত নির্দেশনা প্রচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
বন্যা এবং অন্যান্য সকল ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে জনগণের ভোগান্তি ন্যূনুম পর্যায়ে কমিয়ে আনতে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সকলকে বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোন বিপর্যয়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ন্যূনুম পর্যায়ে ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহনের ধারণার মধ্যেই আমাদের থাকতে হবে। তিনি বলেন, যখনই কোন দুর্ঘটনার খবর আসে তাঁর সরকার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সাড়া দেয়, জীবনহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা করে। পূর্বর্বুী সরকারগুলো থেকে এই উদ্যোগ ব্যতিক্রমী।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনুা পরর্বুী বঙ্গবন্ধু সরকার উপকূলীয় অঞ্চলকে জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ নামে ১ হাজার সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে র্বুমান সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর সূফল লক্ষ্য করা যায় ১৯৯৮ সালে দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ বন্যায় যখন ঢাকা মহানগরীরও বন্যার পানিতে প্লাবিু হয়েছিল। ওই সময় এ পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছিল যে বন্যায় ২ কোটি মানুষ মারা যাবে।
তিনি বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার ও দাহ্যপদার্থ ব্যবহারে জনগণকে সুর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, আধুনিকায়ন আমাদের অনেক আরাম দিয়েছে। তবে এতে ঝুঁকিও কম নয়। এজন্য আধুনিকায়নের ঝুঁকি এড়াতে আমাদের সুর্ক হতে হবে।