Bangladesh

PM Hasina gets a new picture

PM Hasina gets a new picture

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 27 Nov 2018, 04:18 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২৭: বরিশালের বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে প্রায় ২০০ বছর ধরে চলমান নৌকায় ভাসমান চালের হাট। এই ঐতিহ্যবাহী হাটের একটি ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার সংগৃহীত ভাসমান হাটের ফ্রেমে বাঁধানো ছবি প্রধানমন্ত্রীকে দেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সরবরাহ করা এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হযয়েছে, বরিশাল জেলার বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে নৌকায় ভাসমান চালের হাটটি প্রায়২০০ বছর ধরে চাল কেনা-বেচার সবচেয়ে বড় হাট। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত ক্রেতা সমাগম ঘটে এখানে। জেলে না হয়েও বহুকাল ধরে এভাবেই নৌকায়ভেসে প্রত্যাহিক জীবিকা নির্বাহের কাজ করে আসছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা।


এতে আরও বলা হয়, সপ্তাহে দু’দিন শনি ও মঙ্গলবার বসে এই ভাসমান চালের হাট। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এখানকার কেনাবেচা। বানারীপাড়া বাজারের পশ্চিমে এবং সন্ধ্যা নদীর পূর্ব তীরে বসা এই হাট থেকে বরিশাল জেলা কার্যালয়ের দূরত্ব প্রায়২৫ কিলোমিটার। প্রায়সারা বছরই চালু থাকে এই হাট। এমনকি আগস্ট থেকে অক্টোবর (আউশ) এবং ডিসেম্বর থেকে মার্চ (অন্যান্য জাত) পর্যন্ত ধানের মৌসুম চলাকালে এখানে সপ্তাহে অতিরিক্ত দু’দিন (বুধ ও শুক্রবার) হাট বসানো হয়।


স্থানীয়মানুষের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই হাটে বরিশাল অঞ্চলের বিখ্যাত সুগন্ধি জাতের ‘বালাম’ চাল পাওয়া যায়। বালাম ছাড়াও হাটে আরও দু’টি বিশেষ জাতের চাল গোদাই ও আউশের সহজলভ্যতাও রয়েছে। বানারীপাড়া উপজেলার অধিকাংশ কৃষকই এই হাটের বিক্রেতা। কেউ নিজে ধান চাষ না করলেও বাজার থেকে ধান কিনে তা থেকে চাল প্রস্তুত করে ভাসমান হাটে এনে বিক্রি করেন। প্রচুর নদী-নালা থাকায়আগে এই অঞ্চলের যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল নৌকা। এই হাট থেকে চাল কিনতে এক সময় ঢাকা থেকে বড় বড় নৌকা আসতো। আর এভাবেই সন্ধ্যা নদীর ওপর ধীরে ধীরে বিস্তৃতি ঘটে ভাসমান চালের হাট।


বানারীপাড়া উপজেলার নলেশ্রী, দিদিহার, দা-য়াট, বাইশারী, মসজিদ বাড়ি, আউরা, কালিবাজার, খোদাবকশ, মঙ্গল, চাখার, বাকপুর, ঝিরাকাঠি, ভৈতস্বর, চালতাবাড়ি, চাউলাকাঠি, কাজলাহার, ব্রাহ্মণকাঠি, জম্বু দ্বীপ গ্রামের ৯৫ ভাগ কৃষক এই হাটের ওপর নির্ভরশীল।


ভাসমান এই হাটে প্রতি মণ চাল এক হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়, যেখানে অন্যান্য বাজারে প্রতি মণ চালের দাম পড়বে প্রায়এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। বিচিত্র জাতের চাল পাওয়ার পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যের কারণে এই বাজার সবার কাছে সমাদৃত।