Bangladesh

PM Hasina gives importance to maintaining general health

PM Hasina gives importance to maintaining general health

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 24 Sep 2019, 11:33 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৫ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউএইচসি) নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এটা বৈশ্বিক ও প্রাথমিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে।

তিনি বলেন, ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুফল বৈশ্বিক এবং এর জন্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ তিনি স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ট্রাস্টিশীপ কাউন্সিলের প্ল্যানারি কাউন্সিলে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন।


প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মতো একটি সাধারণ লক্ষ্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বয় আমাদের উন্নয়নের মূল। তিনি বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষে আমাদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর্থসামাজিক অগ্রযাত্রায় সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অপরিহার্য।


শেখ হাসিনা বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি ক্রমান্বয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে। এটি এমনকি অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকেও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন ধরণের অর্থনৈতিক ক্লেশ ছাড়াই সহায়তা করছে। নানা রকম প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বাংলাদেশ সরকার সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিশ্চিতকরণে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিরাপত্তা, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা, নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা ও সুলভ মূল্যে অণ্যাবশ্যকীয় ওখুধ প্রপ্তিসহ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । তিনি বলেন, ‘ আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে অকালমৃত্যু তিন ভাগের এক ভাগ কমিয়ে আনা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন ও কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমুায় এলে স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক গুরুত্ব প্রদান করে। ‘তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার গুরুতর অবস্থার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৮ সালে ‘কমিউনিটি হেল্থ ক্লিনিক’ গড়ে তুলি।


তিনি বলেন, এসব ক্লিনিক সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মডেল, যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে দক্ষ কর্মী, ওখুধ ও যন্ত্রপাতি দেয়া হয় এবং স্থানীয় লোকেরা এসব ক্লিনিকের জন্য জমি দেন।