Bangladesh
PM Hasina gives major hint on port
পরে সাংবাদিকদের সামনে আলোচনার সারবস্তু তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ২০ বছরব্যাপী ওই রূপকল্প তৈরি করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ।
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামসুল আলম বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। গভীর সমুদ্রবন্দর করলে সেটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে; বাস্তুতন্ত্রে, ইকোলজিতে। সেজন্য সেখানে পর্যটন কী গড়ে তোলা হবে, সমুদ্রবন্দর অন্যত্র গড়ে তোলা হবে এরকম একটা ধারণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।’
ব্রিফিংয়ের শেষের দিকে এ বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন এম এ মান্নান বলেন, ‘সেখানে সমুদ্রবন্দর থেকে সরে আসব – বিষয়টা এরকম না। এখানে আলোচনা হয়েছে যে, সোনাদিয়া সুন্দর জায়গা। এর বৈচিত্র রক্ষা করা হোক। গভীর সমুদ্রবন্দর হবে নাকি অগভীর হবে, না পর্যটন হবে – উই উইল ডিসাইড ইন ফিউচার (ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব)। মূল কথা হলো, সোনাদিয়াকে অক্ষত রাখা হবে।’
সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে এসে আট বছরের মাথায় প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও বর্তমানে আলোচিত এই মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, অর্থায়নের উৎস নিশ্চিত না হওয়ায় মূলত এই প্রকল্পটি থেমে গেছে। তবে সোনাদিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যেখানে কয়লার জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের বিষয় বিবেচনাধীন।