Bangladesh

PM Hasina seeks help from neighbours

PM Hasina seeks help from neighbours

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 17 Sep 2019, 08:13 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৭ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশিদের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ জনগণের পারস্পরিক কল্যাণ এবং উন্নয়নের স্বার্থেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সমস্যা থাকাটা স্বাভাবিক।

কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি প্রতিবেশির সঙ্গে সর্বক্ষেত্রে একটি সহযোগিণামূলক মনোভাব থাকলে পরে তা অনেক কিছু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেই সহজ হয়।’


সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে ড. কালাম স্মৃতি উৎকর্ষ পুরস্কার-২০১৯ গ্রহণকালে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালাম স্মরণে তামিলনাড়ু সরকার ২০১৫ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করে।


ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল’র প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত টিপি শ্রীনিবাসন শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাঁর অসামান্য অবদান, জনকল্যাণ বিশেসত নারী ও শিশুদের কল্যাণে বিশেষ অবদান এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিণার জন্য শেখ হাসিনাকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।


প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার গ্রহণের সময় দেশের জনগণের প্রতি কর্তব্য পালনে তাঁর দায়বদ্ধতার প্রতি প্রশংসার নিদর্শন হিসেবে এই পুরস্কার গ্রহণ করছেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতি এই কর্তব্য পালনই আমার জীবনের মূলমন্ত্র, যেমনটি ছিল আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আমি এই পুরস্কার দেশের জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।’


শেখ হাসিনা বলেন, এই পুরস্কার বিশ্ব নেুৃবৃন্দকে ড. কালামের প্রত্যাশিত টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়নে উৎসাহিত করে চলেছে। তিনি বলেন, দেশবাসীকে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে আমি হয়তো সামান্য কিছু অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছি আর সেটা সম্ভব হয়েছে আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দেশের জনগণের জন্য। যারা আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে এবং এদেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের উন্নয়নের কাজ করতে সহযোগিণা করেছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই সেদিক থেকে আমি মনে করি এতে বাংলাদেশের জনগণেরই সব থেকে বড় অবদান। তিনি বলেন, এই পুরস্কার আমাকে এবং আমার সরকারকে আগামী দিনগুলোতে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেমের সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে জনগণের বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনে কাজ করতে উৎসাহ যোগাবে।


ড. কালাম স্মৃতি আন্তর্জাতিক এডভাইসোরি কমিটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে কেরালার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি এবং পুন্নাডা (এক ধরনের কাপড়) এবং সংস্থার লোগো উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।


এর আগে মালদ্বীপ, ঘানা এবং মরিশাসের রাষ্ট্রপতিগণ এই পুরস্কারে ভূখিু হয়েছেন। ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপার্সন দীনা দাস পুরস্কারের সাইটেশন পাঠ করেন।