Bangladesh
PM Hasina to receive two more awards
মূল অধিবেশনের পাশাপাশি অংশ নেবেন ১২টি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ বৈঠকে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অধিবেশনটি বাংলাদেশের জন্য তিনটি গুরুত্ব বহন করছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ সব তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ইন্টার প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার অনুকরণীয়, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেবে। এর আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস বুট্রোস ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি মারতি আতিসারি এই সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি আরো জানান, গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন এর বোর্ড অব ডিরেক্টরসরা প্রধানমন্ত্রীকে ২০১৮ স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ সম্মাননা দেবেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মাননা দেয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে বেশকিছু ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে যেখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ এ যাবত নেয়া উদ্যোগ এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রাধিকারভুক্ত বিষয়গুলোর একটি হলো বিশ্ব শান্তি ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রম। শান্তি বিনির্মাণ ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেয়া উদ্যোগগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের অধিবেশনে শান্তিরক্ষা বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কিত, বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে বেশকিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে বাংলাদেশ অংশ নিয়ে নিজের অর্জন তুলে ধরার পাশাপাশি অন্য দেশের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নিজের প্রাধান্য নিশ্চিত করার সুযোগ পাবে।’