Bangladesh

PM wants to utilise youth of the country

PM wants to utilise youth of the country

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 19 Dec 2019, 09:08 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ২০ : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুব সমাজ দেশের সম্পদ। তাদেরকে দক্ষ যুব সমাজে রূপান্তর করতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। দক্ষ যুব সমাজকে বিদেশে পাঠিয়ে তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেহে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য শেষে তিনি প্রবাসী মেলার উদ্বোধন করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের ৮২ থেকে ৮৩ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করত। এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয় গেছেন। সমগ্র বিশ্বে আমাদের দেশের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন সে ব্যবস্থাও চালু করে গেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের দিকে নজর দিয়ছে। আমরা প্রবাসীদের জন্য আইন, নীতিমালা করেছি। এ সেক্টরকে ফাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করা হয়ছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থকে আমরা খুবই গুরুত্ব দেই। আমাদের দেশ থেকে প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠাতে চাই। ঘরবাড়ি জমি বিক্রি করে কেউ যেন দালালের খপ্পরে না পড়ে, কেউ যেন নিঃস্ব না হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করেছি, এখান থেকে ঋণ নিয় তারা বিদেশে যেতে পারেন। এই ব্যাংকের মাধ্যমে তারা তাদের অর্থ পাঠাতে পারবে। অবৈধ পথে অর্থ না পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয় যেমন বিদেশে যাওয়া যাবে, আবার বিদেশ থেকে ফিরে এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয় বাংলাদেশেও কিছু করতে পারবেন। বিদেশগামী যুবকরা যাতে প্রতারণায় না পড়ে সে জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ছে।


শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশে দারিদ্র্য হার কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ ভাগ। এখন আমরা তা ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে এ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ ডলার। আর বর্তমানে মানুষের এ আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০০ ডলারে।


‘দক্ষ হয় বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুই ই মেলে’ -এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশে বিভিন্ন আয়াজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের ক্রমবর্ধমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং সুষ্ঠু নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য সরকার দক্ষতা উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপের প্রেক্ষিতে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়ছে।