Bangladesh
Political will necessary to make BIMSTEC a success
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সদস্য দেশগুলোর দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ আগামী দিনগুলোতে বিমসটেককে আরও কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে।’ তিনি বলেন, শুরু থেকেই বাংলাদেশ বিমসটেককে কার্যকর করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল। এ অঞ্চলের মানুষের দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিমসটেকের সঙ্গে কার্যকরভাবে সমন্বয়সাধন করা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পররাষ্ট্রনীতি।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় বিমসটেকের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এ নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি নীতির অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিদ্যমান বিমসটেককে পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো হলো- ‘টেকসই উন্নয়ন’, ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলুা’ এবং ‘মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাবগুলো বিমসটেককে গতিশীল করে তুলবে এবং পারস্পরিক সহযোগিণার মাধ্যমে সংগঠনটি এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। তিনি আরও বলেন, বিমসটেককে দৃশ্যমান সুফল পাওয়ার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শক্তি, নিরাপত্তা, কৃষি, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগকে অধিক প্রাধান্য দেয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণাপত্র গ্রহণের মাধ্যমে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক্যাল কর্পোরেশন) যাত্রা শুরু হয়।
প্রতি বছর ৬ জুন বিমসটেক দিবস পালন করা হয়। এ বছর এ অঞ্চলে একই সময় ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে ২৫ জুন বিমসটেক দিবস পালিু হয়। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ বিমসটেকের সদস্য। এগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। এ দেশগুলো বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল।