Bangladesh
Politics banned in BUET
এতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইয়াজ হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাসুদসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত আছেন।
আলোচনার শুরুতে ফাহাদ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত সব আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান ভিসি। এ ঘটনায় মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। ফাহাদের খুনিদের ফাঁসিসহ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে বুয়েটের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ব্যাচের সঙ্গে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের শর্ত অনুযায়ী, গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি না হলেও পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের সামনে আলোচনা করতে রাজি হন। তবে তিনি বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার না করার শর্ত জুড়ে দেন।
বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে উপাচার্য অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেন। তিনি ও ডিএসডব্লিউ পরিচালকসহ সাতজন মঞ্চে বসেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিভিন্ন অনুষদের ডিনরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শুরুতে ভিসি বলেন, ‘আমার নিজ ক্ষমতায় বুয়েটের সব রাজনৈতিক দলের কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি।’ এ সময় জোর করতালিতে এ সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানান শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ছাত্র আবরার ফাহাদের ম্যৃুত্যুতে নিজের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চান ভিসি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমার কিছুটা ভুল হয়েছে, আমি তোমাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আবরারের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, আবরারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে এবং মামলার খরচ বুয়েট কর্তৃপক্ষ বহন করবে। বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারকে চিঠি দেয়া হবে।
হলগুলোয় র্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে দ্রুততম সময়ে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ভিসি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসের মধ্যে সিসিটিভি বসানো হবে। এ জন্য সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। ভিসি বলেন, ‘আবরার আমার সন্তানের মতো ছিল। তোমাদের যেমন কষ্ট লাগছে তার মৃত্যুতে আমারও অনেক খারাপ লেগেছে। এটি আমি মেনে নিতে পারিনি। তার মৃত্যুতে দুঃখ তোমরা পেয়েছ, আমিও পেয়েছি। আমরা সকলেই মর্মাহতিনি বলেন, ‘আমার কিছুটা ভুল হয়েছে, আমি তোমাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার ভুল আমি স্বীকার করেছি, তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দাও।’
এদিকে শুক্রবার বুয়েট অডিটরিয়ামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের আলোচনা শেষে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দফতরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আজ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে হলে অভিযান চালাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’ তিনি বলেন, বুয়েটের সব হলে পাঁচজন করে সিনিয়র শিক্ষক নিয়ে অভিযান চালাবে বুয়েট প্রশাসন।