Bangladesh
President asks army members to maintain independence and sovereignty
রাষ্ট্রপতি আজ শনিবার ভাটিয়ারির বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)-তে ৭৬তম বিএমএ লং কোর্সের ক্যাডেট অফিসারদের কমিশন লাভ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট’স প্যারেড-২০১৮ অনুষ্ঠানে ভাষণকালে এ আহ্বান জানান। তরুণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একথা মনে রাখতে হবে যে অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। এজন্য সকলকেই সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান রাষ্ট্রপতি বলেন, যেকোন দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নতুন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের কাজের মাধ্যমে এমন নজির স্থাপন করবে যা পরবর্তীদের জন্য অনুসরণীয় হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দক্ষতা, মেধা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গৌরব। এই আনন্দের দিনে তিনি সকল নবীন কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সেনানিবাসের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি ১৯৭৪ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, বিএমএ আজ একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি। ইতোমধ্যে এখানে ক্যাডেটদের ইনডোর প্রশিক্ষণের সব অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এ একাডেমিতে বিভিন্ন বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এখন শুধু আমাদের সামরিক একাডেমি দেখতেই আসে না, এখানে প্রশিক্ষণ নিতেও আসে।
এরআগে রাষ্ট্রপতি খোলা জীপে চড়ে চৌকস প্যারেড ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পদক প্রদান করেন। এই প্যারেডের মাধ্যমে ৩৭ জন মহিলা, দু’জন সৌদি আরবের ও এক জন শ্রীলংকার মোট ২৫৭ ক্যাডেট কমিশনপ্রাপ্ত হন।