Bangladesh

President Hamid makes major announcement on Evening courses
Amirul Momenin

President Hamid makes major announcement on Evening courses

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Dec 2019, 06:45 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ১০ : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হওয়া বিভিন্ন ইভিনিং কোর্সেও তীব্রমসমালোচনা করে বলেছেন, একশ্রেণীর শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন, যাতে সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরো বলেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডিপার্টমেন্ট কোর্স, ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ও ইনস্টিটিউটের ছড়াছড়ি। নিয়মিত কোর্স ছাড়াও এসব বাণিজ্যিক কোর্সের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে।

 

এসব ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষার্থীরা কতটুকু লাভবান হচ্ছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলেও একশ্রেণীর শিক্ষক ঠিকই লাভবান হচ্ছেন। তারা নিয়মিত নগদ সুবিধা পাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছেন।


রাষ্ট্রপতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন দিনে সরকারি ও রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।


রাষ্ট্রপতি বলেন, কিছু শিক্ষক আছেন যারা নিয়মিত কোর্সেও ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। কিন্তু ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে তারা খুবই সিরিয়াস। কারণ, এগুলোতে নগদ প্রাপ্তি থাকে।
উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অভিভাবক ও একাডেমিক লিডার অভিঘিু করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, কোনো কোনো উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল কাজ কি- তা ভুলে গেছেন। অনেক শিক্ষক প্রশাসনিক পদ-পদবি পেয়ে নিজে যে একজন শিক্ষক সে পরিচয় ভুলে যান।


সম্প্রতি দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অমানবিক ও অনভিপ্রেত ঘটনার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, একে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার্থীদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।


পদার্থ বিজ্ঞানী নোবেল বিজয়ী ও জাপানের ইনস্টিটিউট ফর কসমিক রে রিসার্চ অব টোকিও ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর প্রফেসার তাকাকি কাজিতা সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


অনুষ্ঠানে ২০,৭৯৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ৯৮ জন রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এছাড়া, ৫৭ জনকে ডক্টর অব ফিলসফি (পিএইডি) ও ১৪ জনকে মাস্টার অব ফিলসফি (এমফিল) ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সমাবর্তনে অংশ নেন। ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।