Bangladesh
President Hamid visits ancestral home
এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আব্দুল হামিদ। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাস্তবায়িত এই প্রকল্প এখন কঠিন বাস্তব। যে স্বপ্ন তিনি দেখতেন তার সুযোগ্য পুত্র কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক তা বাস্তবায়ন করেছেন। তাই প্রথম সুযোগেই রেজওয়ান তার বাবা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে এই প্রকল্প ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। পুলিশের গাড়িতে চড়ে সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের তিন হাওর উপজেলার (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় রাষ্ট্রপতির গাড়িচালক ছিলেন তার বড় ছেলে রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছর হাওরের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগে বিভিন্ন নদীতে পাঁচটি ফেরি বসানোর পর ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশের তিনটি নতুন ও অত্যাধুনিক মডেলের পিকআপ সরবরাহ করা হয়। ওই সময় প্রথমবার গাড়ি চালিয়ে বাড়ি যান রাষ্ট্রপতির ছেলে, বিষয়টি দেখে অবাক হয়েছিলেন হাওরবাসী। সোমবার মিঠামইন থানার অত্যাধুনিক মডেলের পিকআপযোগে রাষ্ট্রপতি বাবাকে স্বপ্নের প্রকল্প অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখাতে নিয়ে যান রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে। মিঠামইনের কামালপুরে নিজের বাড়ি থেকে অলওয়েদার সড়ক ধরে প্রথমে অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরো পয়েন্টে যান রাষ্ট্রপতি। পরে সেখান থেকে একই সড়ক ধরে মিঠামইন ও ইটনা সড়ক ঘুরে দেখেন তিনি। স্বপ্নের সড়ক পরিদর্শন করে আবার গাড়িতে চড়ে নিজের বাড়ি ফেরেন রাষ্ট্রপতি।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নিজের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে মরদেহ নিয়ে রোববার (১৯ জুলাই) মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন রাষ্ট্রপতি। রোববার সন্ধ্যায় মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইয়ের মরদেহ দাফন করা হয়। ভাইয়ের জানাজা শেষে পরদিন ঢাকায় ফেরার কথা থাকলেও হাওরে স্বপ্নের বাস্তবায়ন নিজ চোখে দেখতে আরও দুদিন থেকে যান তিনি। সোমবার স্বপ্নের প্রকল্প অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি।