Bangladesh

Prison officials in trouble with 'thieves'

Prison officials in trouble with 'thieves'

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Jun 2019, 01:34 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ১৩ : কিছুদিন আগে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরা রোহিঙ্গা আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা ও মাইকিং করা হয় শহর থেকে গ্রামঞ্চলে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনার পর একযোগে আটটি থানার অফিসাররা নেমে পড়েন গণসচেতনতায়। ওই সময় প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীনদের গণপিটুনী দিয়ে থানায় সোপর্দ করতে থাকে স্থানীয় জনতা। ছেলেধরা রোহিঙ্গা আতঙ্ক এতটাই প্রকট আকার ধারণ করে যে, শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ঘর থেকেই বের হওয়া বন্ধ করে দেন।


এদিকে গণপিটুনী দিয়ে যাদের বিভিন্ন থানায় সোপর্দ করা হয়েছিল তারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন। সেসময় ১৬-১৮ জন এমন নারী-পুরুষ থানা হেফাজতে ছিলেন। থানা থেকে তাদের পাঠানো হয় আদালতে। আদালত তাদের সকলকেই সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।


তবে মানসিক ভারসাম্যহীন এসব মানুষকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান বলেন, কিছুদিন আগে ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা আতঙ্কের পর জনগণ গণপিটুনী দিয়ে যাদের থানায় সোপর্দ করেছেন তারা সকলেই এখন সাতক্ষীরা কারাগারে। ১৬-১৮ জন নারী-পুরুষ রয়েছেন। পুরুষদের কারাগার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, আর নারীরা রয়েছেন মহিলা কারা ওয়ার্ডে। তারা পাগল কি-না সেটি ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ধারণা করা যায় এদের সবারই মস্তিষ্ক বিকৃত।


কারাগারে তাদের কীভাবে তত্ত্বাবধান করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কারাগারে সকলের সঙ্গেই ভালো ব্যবহার করা হয়। তাদের সঙ্গেও স্বাভাবিক আচরণ করেন কারাগারের অন্যান্য দায়িত্বরতরা। তবে তাদের আচরণ অনেকটা অস্বাভাবিক। আদালত থেকে তাদের জামিন করার মত কেউ নেই বা এখনও পর্যন্ত কেউ কোনো জামিনের কাগজপত্রে স্বাক্ষরও নেয়নি।


তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এসব মানুষকে আদালত থেকে জামিন করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আদালত জামিন দিলে তাদের মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আমরা কাজ করছি।


সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরা ও রোহিঙ্গা আতঙ্ক এতটাই প্রকট আকার ধারণ করে যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটিকে গুজব বলে মাইকিং করলেও প্রথমদিকে এটিকে থামানো যায়নি। ছেলেধরা রোহিঙ্গা ভেবে মানসিক ভারসাম্যহীনদের গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করতে শুরু করে মানুষ। পরে যাচাই করে দেখা যায় তারা সকলেই মানসিক ভারসাম্যহীন।