Bangladesh

Quota: Hasina expresses her 'anger' against teachers

Quota: Hasina expresses her 'anger' against teachers

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 17 Jul 2018, 11:30 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ১৮ : কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষে দাঁড়ানো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাবেক আমলাদের বিরুদ্দে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কোটা নিয়ে যারা আলোচনা করেন, মন্তব্য করেন, তাদের না হাই কোর্ট সম্পর্কে জ্ঞান আছে, না আপিল বিভাগের কোনো রায় সম্পর্কে ধারণা আছে’।

তিনি বলেন, যারা শিক্ষিত, যারা শিক্ষক; তারা এ ধরনের ভুল কী করে করেন! আমি বলেছি যে আপিল বিভাগের নির্দেশ আছে, শূন্যস্থান মেধা তালিকা থেকে পূরণ হবে’। অথচ এর ভুল ব্যখ্যা করা হচ্ছে।


মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেমে কক্সবাজার জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা (জিটুপি) সরাসরি ব্যাংক হিসাবে জমা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা হঠাৎ দেখলাম, বাংলাদেশে খুব কোটাবিরোধী আন্দোলন।’ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি ব্যাখা করে সরকার প্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বংশানুক্রমিকভাবে যাতে চাকরি পেতে পারে, অন্তত রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যেন দায়িত্ব রাখতে পারে, সে ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়েছি। সাথে সাথে এটাও দেখতে হবে, স্বাধীনতাবিরোধী যারা, যুদ্ধাপরাধী যারা, তারা যাতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে, রাষ্ট্রীয় কোনো পজিশন না পায়, সেটাও দেখতে হবে।


কোটা নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিষয়ে রিট হওয়ার পর হাই কোর্ট হুকুম দিল, কোটা থাকবে, পদ শূন্য থাকবে। রিভিউয়ে বলল, কোটা পূরণ করে শূন্য পদ থাকলে সেটা তালিকা থেকে নেওয়া যাবে।


সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে এবং টেলিভিশন আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাবেক আমলাদের কেউ কেউ কোটা সংস্কারের পক্ষে কথা বলায় দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার খুব দুঃখ হয়, জ্ঞানীগুণী ব্যক্তি, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক টকশো করেন, রিটায়ার্ড সরকারি আমলারাও কথা বলেন এই কোটার বিরুদ্ধে।’


প্রধানমন্ত্রী বলন, অত্যন্ত মেধাবীরাই সরকারি চাকরির জন্য বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়। যারা পরীক্ষা দেয়, তারা কি মেধাবী না? তারা সকলেই মেধাবী। পিএসসি তো যথেষ্ট কঠিন। মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ছাড়া ওই পরীক্ষা কেউ দিতে পারে না। অত্যন্ত মেধাবী হলে তারা পাস করতে পারে।কোটার সুযোগে কম মেধাবীরা সরকারি চাকরি পাচ্ছে বলে যারা অভিযোগ করেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, পাস করছে, তারা মেধাবী না, এ ধরনের কথা বলে কীভাবে?’