Bangladesh
Quota row: Protesters again call for demonstration
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পুরনো নেতারা আবার একবার লড়াইয়ে নেমেছেন।
সরকারের সাথে এই বিষয় সমঝোতা তাড়া ভেঙ্গে দিয়েছেন।
নিজেদের এই দাবিগুলি পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, সড়ক অবরোধসহ সব ধরনের বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর সাংবাদিকদের মঙ্গলবার বলেছেনঃ "আজ বিকেলে আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাজেটের আগ পর্যন্ত কোটা সংস্কার সম্ভব নয়। এই দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া আমরা মানি না।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এই বিষয় সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না এলে আন্দোলন চালানো হবে বলে জানান ওনারা।
পরিষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেনঃ "প্রধানমন্ত্রীকে আমরা বলতে চাই, আপনার সন্তানদের এই বিপদের মুখে রাস্তায় ফেলে দেবেন না, দয়া করে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিন।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আজ বলেছেন যে আসন্ন বাজেটের পরে সরকার কোটা সংস্কার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে।
রাজধানীতে সচিবালয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) লভ্যাংশ প্রদান অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি উনি বলেন।
মুহিত বলেন, "কোটা এখন যা আছে, তা বোধহয় অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা সংস্কার করা উচিত। তবে কোটা থাকতেই হবে। সমাজে যারা পশ্চাৎপদ, তাদের জন্য কোটা থাকা উচিত।"
"প্রশ্ন হচ্ছে কত শতাংশ থাকবে? আগামী বাজেটের পরে কোটা সংস্কারে হাত দেওয়া হবে," উনি বলেন।
কোটা অনুযায়ী যত পদ আছে অত সংখ্যক লোক পাওয়া যায়না, মন্ত্রী বলেন।
কোটা সংস্কারের বিষয় নিয়ে ঢাকায় গত কিছুদিন ধরে একদল মানুষ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখিয়েছে।