Bangladesh
Rahman responsibile for Rohingya trouble: Hasina
প্রধানমন্ত্রী বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা বিষয় যদি আপনারা লক্ষ্য করেন ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশে যে ঘ্যুা, ক্যু এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয় এবং এর পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যাটাও সৃষ্টি হয় ’৭৬-’৭৭ সালে। আর ’৭৮ সালে এই রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হয়। এটাই বাস্তবতা।’ বর্তমান সরকার যেকোন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের উদ্যোগই নিয়েছি।’
যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের মাটি থেকে প্রতিবেশি কোন দেশে কোন রকমের দেশবিরোধী বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ কাউকে দেয়া হবেনা। কোন সন্ত্রাসীর স্থান বাংলার মাটিতে হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।’ তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, কিন্তু বাংলাদেশের মাটিকে আমরা কোন সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করতে দেব না। এদেরকে আমরা এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত এবং চীনের ভূমিকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা আমাদের এই প্রতিবেশি দু’টি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি এবং এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছি।’
এ বিষয়ে মিয়ানমারের সীমান্তে ঘেঁষে অবস্থিত ভারত-চীনসহ অন্যান্য দেশ যেমন লাওস এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গেও বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ এই প্রতিটি দেশের সীমান্তেই মিয়ানমারের ছোট ছোট ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সমস্যা লেগে রয়েছে। কাজেই এই সমস্যাগুলোর যাতে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’