Bangladesh

Rajuk has no information despite presence of 22 lakh house in Dhaka

Rajuk has no information despite presence of 22 lakh house in Dhaka

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 May 2019, 08:01 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ২১ : রাজধানী ঢাকায় ২২ লাখের মতো ভবন রয়েছে। এ তথ্য বছর তিনেক আগের। বর্তমানে ভবনের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম না মেনে ভবন তৈরি করার কারণেই দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে, মহানগরীর ভবনের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনও পরিসংখ্যান নেই দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে। ফলে রাজধানীতে এখন কতটা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, আর কতটা ঝূঁকিপূর্ণ নয়, তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই রাজউকের।


তবে সংস্থাটির রয়েছে একাধিক জরিপ প্রতিবেদন। এসব প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, রাজধানীর দুই-তৃতীয়াংশ ভবন বা প্রায় ৭৫ শতাংশ ভবনই নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। ফলে নিরাপদ নগরী বিনির্মাণে কর্তৃপক্ষের (ভবন নির্মাতা) উদাসীনুাকেই দায়ী করা হয়েছে। এই জরিপ পরিচালনা করতে গিয়ে নগরীর ২২ লাখ ভবনের মধ্যে মাত্র ২ লাখ ৪ হাজার ১০৬টি ভবন সরেজমিন দেখেছে বলে দাবি রাজউকের।


সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রাজউকের আওতাধীন এক হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২২ লাখ ভবনের মধ্যে ২ লাখ ৪ হাজার ১০৬টি ভবনে জরিপ করেছে রাজউক। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আগেই নির্মিত এক লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৬টি ভবনের মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৫৮৩টি ভবনে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় (কম-বেশি) পাওয়া গেছে। তার মানে ৭৫ শতাংশ ভবন তৈরি হয়েছে সঠিক নিয়মের তোয়াক্কা না করেই। নির্মাণাধীন ৮ হাজার ৭৩০টি ভবনের মধ্যেও ৩ হাজার ৩৪২টি ভবনের অনুমোদিু নকশায় ব্যত্যয় রয়েছে। কিন্তু এরপরেও সেসব ভবনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


রাজউকের তথ্য বলছে, সংস্থাটির আওতাধীন এলাকায় ২২ লাখের বেশি ইমারত রয়েছে। এরমধ্যে ৮৪ শতাংশ ভবন একতলা। আর তিন হাজার ২৭৩টি ১০ তলার অধিক বা বহুতল ভবন। এই তথ্য ২০১৬ সালের। গত তিন বছরে এ সংখ্যা অনেক বেড়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সব নিময়-কানুন অনুসরণ করে ভবন নির্মাণের পর মাত্র ১৬৫টির মতো ভবন ব্যবহারের অনুমতিপত্র বা অকুপেন্সি সনদ পেয়েছেন মালিকরা। রাজউকের আইন অনুযায়ী শুধু এই ভবনগুলোই সব নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে। বাকি ভবনগুলো ব্যবহারের জন্য রাজউক থেকে কোনও অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেনি।


সম্প্রতি বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকা-ের পর নগরীর বহুতল ভবনের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে রাজউক। তবে সংস্থাটির ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী, তিন হাজার ২৭৩টি ভবন থাকলেও রাজউক এ পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৮১৮টি ভবনের তথ্য সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই।