Bangladesh

Rakish murder

Rakish murder

| | 04 Apr 2018, 08:57 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ৪: রংপুরের জজ আদালতের বিশেষ পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিককে স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও তার ‘কথিত প্রেমিক’ কামরুল ইসলাম শ্বাসরোধে হত্যা করা করেছে।

হত্যার পর রাতে লাশটি বাড়িতে রাখা হয়। পরদিন সকালে আলমারিতে ভরে গুম করা হয়।


রংপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন র‌্যাব (বিশেষ বাহিনী)’র মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।

 

পিপি রথিশ জাপানি নাগরিক ওসি কুনিও ও খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী ছিলেন। তিনি নিখাঁজ হওয়ার পর সঙ্গতা: কারণে ধারণা করা হয়েছিল মৌলবাদীরা এমন কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।


বুধবার (৪ এপ্রিল) রংপুরে এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক জানান, পারিবারিক কলহ, সন্দেহ ও পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে স্ত্রী দীপা ভৌমিক তার স্বামী রথিশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এই কাজে সহায়তা করেন তার কথিত প্রেমিক কামরুল মাস্টার।

 

গত ২৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ১০টার শয়নকক্ষে রথিশ চন্দ্রকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। এ সময় তিনি অচেতন হলে স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ শয়নকক্ষেই রাখা হয়। পরের দিন শুক্রবার কামরুল মাস্টার ভোর ৫টায় ওই বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

 

পরবর্তীতে সকাল ৯টায় কামরুল একটি রিকশাভ্যান নিয়ে আসে। পরে তারা লাশ গুম করার উদ্দেশে একটি আলমারি পরিবর্তনের নাম করে সেখানে লাশ ভরে রংপুর নগরীর তাজহাটের মোল্লাপাড়ার নির্মাণাধীন বাড়িতে বালু খুঁড়ে পুঁতে রাখে। আলমারি বহন ও লাশ ভ্যানে তোলার কাজের জন্য তিনজনকে কামরুল মাস্টার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল।


মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রথিশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে র‌্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকান্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১১টায় তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে রথিশের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিককে ঘটনাস্থলে নেওয়া হলে তিনি তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন।

 

Image: Bangla Tribune