Bangladesh
Rangamati: 7people killed in gun attack
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মার্চ ১৯: রাঙ্গামাটিতে উপজেলা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফেরার পথে সন্ত্রাসীর গুলিতে ৭ জন ভোটগ্রহণ কর্মী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক তৈয়ব আলি (৪০), আনসার বাহিনীর ভিডিপি সদস্য আল আমিন (১৭), বিলকিস বেগম (৪০), মিহির কান্তি দত্ত (৪০), জাহানারা বেগম (৪০), পথচারী মন্টু চাকমা (২৭) ও শিক্ষক মো. আমির হোসেন (৪০)।
এদিকে আহত অপর ১০ জনকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছায়।
বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে জালভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ছয় চেয়ারম্যান ও চার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেন।
কেন্দ্র যেতে বাধা ও রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তির অভিযোগে সোমবার বেলা ১২টার দিকে তারা নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে রাঙ্গামাটির রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জনসংহতি সমিতির নেতা পঞ্চানন চাকমা, যানচিনা চাকমা, ইউপিডিএফ সমর্থিত রূপম চাকমা ও কেনারঞ্জন চাকমা। নানিয়ারচর উপজেলা সদরে স্থানীয় সাংবাদিকদের তারা এ তথ্য জানান।
এ ছাড়া ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বাঘাইছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সমীরণ চাকমা, সুমিতা চাকমা, নানিয়ারচরে কোয়ালিটি চাকমা ও রণবিকাশ চাকমা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। যদিও ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে রাঙ্গামাটির প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলার ২০৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ করে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোট ছিল রোববার। এসব উপজেলার ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।