Bangladesh
Rifat murder: Minni
সোমবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী আবেদন দু’টি প্রত্যাখ্যান করেন।
বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এজলাসে বসে আবেদনের ব্যাপারে বলেন, মিন্নির জবানবন্দি বাতিলের আবেদন করতে হলে জেলারের কাছে থেকে কাগজপত্র আদালতে আসতে হবে। তাছাড়া মিন্নির চিকিৎসার বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
মিন্নির আইনজীবী ও বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, মিন্নির জবানবন্দি জোর করে নিয়েছে পুলিশ এবং তিনি খুব অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হচ্ছেনা মর্মে দুটি আবেদন করা হয়। আবেদন দুইটি আদালত নামঞ্জুর করেছেন। আদালত যেভাবে বলছেন আমরা সেভাবেই সামনে এগোচ্ছি।
২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়। হত্যাকা-ের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এরমধ্যে কয়েকজন আসামিও গ্রেফতার হন।
পরে ১৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হত্যাকা-ে মিন্নির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওইদিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
পরদিন ১৭ জুলাই বুধবার বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শুনানি শেষে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কিন্তু ওইদিন মিন্নিরপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলো না।
রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত শুক্রবার এ ঘত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিন্নিকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে রিফাত ঘত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মিন্নি জবানবন্দি দেন।