Bangladesh

Rohingya: Dhaka taking major decision on issue
Amirul Momenin

Rohingya: Dhaka taking major decision on issue

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Sep 2020, 07:46 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ : রাখাইনের মূল ভূখন্ডে ফিরে যাওয়ার জন্য জোর পূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে আস্থার ঘাটতি কমাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারকে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ থেকে অসামরিক পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বিশ্বাসের ঘাটতি কমাতে এবং আস্থা বাড়াতে আমরা মিয়ানমারকে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ যেমন আসিয়ান, চীন, রাশিয়া, ভারত বা তাদের পছন্দের অন্যান্য বন্ধুর সঙ্গে বেসামরিক পর্যবেক্ষকদের যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছি। তিনি বলেন, বিদেশী বেসামরিক পর্যবেক্ষক অন্তর্ভূক্তি ‘টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য আস্থা ঘাটতি কমাতে পারে’।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাচ্ছে না কারণ তারা নিজেদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার ব্যাপারে তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না।


রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) এর চেয়ারম্যান ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ফাম বিনহ মিনের সভাপতিত্বে তিনি ‘২৭তম আসিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস’ মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এআরএফ-এর অংশীদারদের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছেন যাতে অসহায় রোহিঙ্গারা সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং মর্যাদায় তাদের ভূখন্ডে ফিরে যেতে পারে, সেখানে পুনর্বাসিত এবং সমাজে পুনরায় সংহত হতে পারে।


মোমেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যদি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না করা হয়, তাহলে তা উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে এবং যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোন সীমানা নেই, কোন বিশ্বাস নেই, এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা সৃষ্টির একটি ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে যা একটি শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য আমাদের আশাকে হতাশায় পরিণত করতে পারে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে আগ্রহী এবং এরপর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে ৩টি দলিল স্বাক্ষরিত হয়। তিনি উল্লেখ করেন, মিয়ানমার ভেরিফিকেশনের পর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে এবং একই সঙ্গে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের স্বেচ্ছায় ফিরে আসার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আজ পর্যন্ত কেউ ফিরে যায়নি এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ এবং গোলাবর্ষণ চলছে। অর্থনীতি, পরিবেশ এবং সামগ্রিক সামাজিক প্রভাবের হুমকি সত্ত্বেও তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নির্যাতিত মানুষকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।