Bangladesh

Rohingya handover to begin from April 15

Rohingya handover to begin from April 15

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 04 Mar 2019, 02:37 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মার্চ ৪: আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শুরু হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এ কথা জানান। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। মিয়ানমার সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। বাংলাদেশে এখন ১১ লাখেরও বেশি নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে।
পরে সরকার নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিকভাবে এক লাখ রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে চরের ভূমি উন্নয়ন ও তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ, থাকছে এক হাজার ৪৪০টি ব্যারাক হাউস। আরও থাকবে ১২০টি শেল্টার স্টেশন, মসজিদ, দ্বীপটির নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ভবন ও কর্মকর্তাদের জন্য বাসভবন। থাকছে অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় থাকবে নলকূপ ও পুকুর।
যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটে সহায়তা হিসেবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে ৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলার দিচ্ছে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ অর্থ গত ১৫  ফেব্রুয়ারি জেনেভায় ঘোষিত ২০১৯ সালের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি) জন্য দেয়া ৬ কোটি ডলারের অতিরিক্ত। এতে ২০১৯ সালের জেআরপিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার অঙ্ক দাঁড়ালো সাড়ে ১০ কোটি ডলারে।’
এ সহায়তার আওতায় রোহিঙ্গাদের জন্য সুরক্ষা, জরুরি আশ্রয়, খাদ্য, পুষ্টি, পানীয় জল, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা, মনোসামাজিক সহায়তা ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা দানকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে সহিংসুা শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ জন্য মোট প্রায় ৫০ কোটি ডলার দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ কোটি ডলারের মত ছিল বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় মানুষদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাবদ।