Bangladesh
Rohingya has hit normal life
এই দই উপজেলার শামলাপুর, লেদা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, উচি প্রাং, হোয়াইক্যং, থ্যাইংখালি, বালুখালী, আঞ্জুমান পাড়া, মধুর ছড়া, কুতু পালং শূন্য রেখায় রোহিঙ্গাদের বসতি রয়েছে। তাদের কারণে ওইসব এলাকার স্থানীয়দের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। পরিস্থিতি এমন চললে মানবিক বিপর্যয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
গত বছর আগস্টে রোহিঙ্গা আসা শুরু হলে স্থানীয় প্রশাসন নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একারণে মৎসজীবীরা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা আসার পর স্থানীয় বাজারে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগে যে মাছ ১০০-২০০ টাকায় কেনা যেতো বর্তমানে তা কিনতে হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়।
এমনকি বেড়েছে যাতায়াত খরচও। আগে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারে যেতে সিএনজি ভাড়া নিতো ৬০০ টাকা।
সেখানে এখন দিতে হচ্ছে এক হাজার টাকা। এছাড়া বাজারে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, সবজির অস্বাভাবিক চাহিদার কারণে দাম আকাশচুম্বী।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ আগস্ট থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
চলতি বছরের ২৪ মে পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।