Bangladesh
Rohingya issue: EC makes special announcement
সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেইনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী একাজে জড়িত আছেন বলে তিনি মনে করেন না।
রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হতে না পারে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না পায়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন সতর্ক আছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘কিছুদিন আগে একজন রোহিঙ্গার কাছে কার্ড (স্মার্টকার্ড) পাওয়া গিয়েছিল। ওটা ছিল ২০১৫ সালের কার্ড। এরপর ৪৬ জন রোহিঙ্গার তথ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। অবশ্য তারা কোনো কার্ড পায়নি। আমরা তাদের আলাদা করে ফেলেছি। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম সাংবাদিকদের জানান, আপনারা জানেন সম্প্রতি আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নেওয়া আছে। সেই কপি আমরা নিয়ে এসেছি। নির্বাচন কমিশনেও বায়োমেট্রিক নিচ্ছি। ভোটার তালিকা করার আগে চট্টগ্রামের বিশেষ এলাকার ক্রসমেসে যদি মিলে যায় তাহলে তারা তো শনাক্ত হয়ে যাবে। রোহিঙ্গা যদি তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে, তবে তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছি। এটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু গ্রেফতারও হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই ভোটার তালিকায় আসতে না পারে বা তারা যাতে এনআইডি না পায় সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে, নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী রোহিঙ্গাদের ভোটার করছে বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহযোগিণা করছে। তারপরও আমরা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করছি। আমাদের একটা টিম আবার এখানে আসবে। অভিযোগ যদি আসে, আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নিজের মতো করে তদন্ত করবে। তথ্যপ্রমাণ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।’
রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি দেওয়া নিয়ে দূর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কবিুা খানম বলেন, ‘দুদকের বিষয়টা আসলে এখনও আমাদের নোটিশে নেই। আমি শুনেছি গণকাল (রোববার) একটা টিম তদন্ত করতে এসেছিল। দুদকের মাধ্যমে কোনো কিছু প্রমাণ হলে নির্বাচন কমিশনও সেটা নিজস্ব ভাবে তদন্ত করে দেখবে।’