Bangladesh

Rohingya issue is a trouble for local safety: Sheikh Hasina

Rohingya issue is a trouble for local safety: Sheikh Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Sep 2019, 06:29 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৯ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকটকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করে এর স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা এবং চার দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন।

নিউইয়র্ক থেকে সংবাদ সংস্থা বাসস জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণের প্রথম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে।’ স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৪টা) জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যবারের মতো এবারেও বাংলায় ভাষণ দেন।


এ বছরের সাধারণ বিতর্কের বিষয়বস্তু হলো ‘দারিদ্র্য বিমোচন, মানসম্মত শিক্ষা, জলবায়ু কর্মসূচি এবং অন্তর্ভুক্তিকরণে বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টার উজ্জীবন।’ নাইজেরিয়ার টিজানি মুহাম্মাদ-বান্দে জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।’


তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী তার শেষ প্রস্তাবে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণসমূহ বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।’


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং রাখাইন প্রদেশে বেসামরিক তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় প্রতিষ্ঠাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলাম।’


রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী অসন্তুষ্টি ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটি বাস্তবিকপক্ষেই দুঃখজনক যে, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় আজ এ মহান সভায় এ বিষয়টি আমাকে পুনরায় উত্থাপন করতে হচ্ছে। ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের আশ্রয়ে রয়েছে। যারা হত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা প্রলম্বিত হয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে, কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতা এবং সামগ্রিকভাবে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফিরে যায়নি।’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে আগামী বছর জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মানব সভ্যতার জন্য একটি শক্তিশালী জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় সকলকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। যেন তা আগামী শতকের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সক্ষম হয়।