Bangladesh
Rohingya issue: Japan promises to help Bangladesh
জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেুা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে আসার ফলে উদ্ভূত দীর্ঘস্থায়ী সংকটের ‘একটি টেকসই ও আশু সমাধান’ নিয়ে আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা এ সংকটে গভীরতা উপলব্ধির জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আবে ও আমি এই মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের একটি টেকসই ও আশু সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘জাপান অনুধাবন করে যে, এ সংকটের সমাধান বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই নিহিত রয়েছে। আর এ জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা এ সংকট মোকাবেলায় উদার সমর্থন এবং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রচেষ্টার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ও আবে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ককে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের নিরিখে আমি আস্থাবান যে আমরা তা অর্জন করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে জাপান সেই টার্গেট অর্জনে আমাদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাঁর বিবৃতিতে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে নিরাপত্তার সাথে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় সহায়তা অব্যাহত রাখবো।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজান হামলায় ৭ জাপানি নাগরিকে মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।এছাড়া সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখান।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা অর্থনৈতিক সহযোগিণা ও সাংস্কৃতিক এবং আরও বিস্তৃত অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে মতবিনিময়ে আমরা একটি ঐকান্তিক বৈঠক করেছি।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে অসামান্য উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।