Bangladesh

Rohingya issue remains a concern: Official
UN website

Rohingya issue remains a concern: Official

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Nov 2019, 07:46 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ১ : ডেভেলপিং ৮ বা ডি-৮ একটি অর্থনৈতিক জোট হওয়ায় রোহিঙ্গা নিয়ে সংস্থাটির কোনো অবস্থান নেই। তবে এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডি-৮ এর মহাসচিব কু জাফর কু শারি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ডিক্যাব সভাপতি রাহীদ এজাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব। বাংলাদেশ সফররত ডি-৮ এর মহাসচিব কু জাফর কু শারি স্বাগত বক্তব্যের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আগামী বছর বাংলাদেশে ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলনে ডি-৮-কে গতিশীল করতে অভিবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স ট্রান্সফার ও দালালমুক্ত করতে ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অর্থের পাশাপাশি বিনিময় প্রথা চালু, নাগরিকদের বিমানবন্দরে বিশেষ সুবিধা, ইসলামিক অফশোর ব্যাংকিং, ডি-৮-এর জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল, ব্যবসায়ীদের জন্য স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনে ডি-৮ পেমেন্ট কার্ডসহ বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেন ডি-৮ মহাসচিব।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কু জাফর কু শারি বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে তা বিস্তারিত বলা যাবে না। আমরা একটি অর্থনৈতিক জোট। ফলে আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা না বলতে চেষ্টা করি। তবে আমরা এ সত্যকে উপেক্ষা করতে পারি না যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি। এটিকে আমি মানবিক দৃষ্টিকোণে দেখি। আমরা অর্থনৈতিক উন্নতির দিক বিবেচনা করে যা করা যায় তা করব। রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। তবে এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।’


সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই স্বীকার করে নিতে হবে যে, যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ডি-৮ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য। যা ৯০ দশকের শেষ দিকে মাত্র ১৫ বিলিয়ন ডলার ছিল। ২০১৮ সালে এ বাণিজ্য ১১০ কোটির ডলারের গেছে। কিছু দূর আমরা এগিয়েছি। আমি মনে করি, আমাদের বাস্তবসম্মত হতে হবে। আমরা ২০৩০ এর মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যে পৌঁছাতে চাই। আমরা মনে করি, এ লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব’।