Bangladesh
Rohingya trouble should be solved peacefully: Indian foreign secretary
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে।
বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব গোখলে বলেন, দুই দেশ সন্ত্রাস দমনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। ভারত দুই দেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ উচ্চতায়।
এ সময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনে শুভেচ্ছা জানান গোখলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বৈঠকের বিষয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
২৯ জানুয়ারি নতুন দায়িত্ব নেয়ার পর বিজয় কেশব গোখেলের প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি।
কেশবের প্রথম সফর হলেও দু'দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়গুলো বেশ পুরনো।
গত বছরের ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় বেশ কিছু বিষয় আলোচনা করে এসেছেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।
দুই পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে এর সঙ্গে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের এ মুহূর্তে বড় সমস্যা রোহিঙ্গা ইস্যুটি। ভারত আগের মতোই জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে আছে দেশটি।
বিজয় কেশব বলেন, 'আমরা সব সময় বলেছি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই আমরা। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশের গুরুত্ব সবার আগে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি সমাধান, দ্রুত তাদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশকে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা গত সেপ্টেম্বরে ৩ লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহযোগিতা পাঠিয়েছি। দ্রুত দ্বিতীয় দফার সহযোগিতা কক্সবাজারে এসে পৌঁছবে। অন্যদিকে, রাখাইনেও রোহিঙ্গাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমরা সহযোগিতা করছি।'
শহীদুল হক বলেন, 'ভারত রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের অবস্থানকেই সমর্থন করেছে। রোহিঙ্গাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে তাদের পদক্ষেপে আমরা সন্তুষ্ট।'
তবে, ভারতের সঙ্গে আলোচনা হলেই সবটুকু আলো থাকে তিস্তায়। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষদে অনেকবারই হয়েছে আলোচনা, অপেক্ষাও বেড়েছে। ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চুক্তি হবে। সে কথা উঠে এলো এবারের আলোচনায়ও।