Bangladesh

Rohingya venues now engaged by wild elephants

Rohingya venues now engaged by wild elephants

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Sep 2019, 08:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১০ : কক্সবাজারের বনভূমি ও পাহাড়ি এলাকা এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। বন উজাড় করে, পাহাড় কাটার পর এসব অঞ্চল মানুষের দখলে চলে যাওয়ায় আবাসন সংকটে বন্যপ্রাণীরা। বিশেষ করে, গভীর বনভূমি ও পাহাড় মানুষের বসবাসের উপযোগী করায় বন্যহাতি এসব অঞ্চল ছেড়ে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে।

আক্রমণ করছে সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে। বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল মানুষের দখলে চলে গেলে এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে আগে থেকেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন পরিবেশবাদীরা।


এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাতি গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. রায়হান সরকার বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বনভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে মানব বসতি থাকতে পারবে না। কিন্তু কেউ এই আইন মানছে না। এখন বনের ভেতরেই প্রচুর ঘরবাড়ি হচ্ছে। একসময় টেকনাফের করিডোর মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। বিচরণক্ষেত্রে খাদ্য সংকট দেখা দিলেই হাতি মিয়ানমারে চলে যেতে পারতো। যখন গাছপালা উঠতো আবার চলে আসতো।’


ড. রায়হান সরকার আরও বলেন, ‘এখন সেখানে হাতির করিডোর ব্লক করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হয়েছে। সীমান্তে কাঁটাতার ও ল্যান্ড মাইন বসানো হয়েছে। এসব হাতি চাইলেও এখন মিয়ানমার যেতে পারছে না। তাই রুট পরিবর্তন করে কিছু হাতি চুনতি অভয়ারণ্যে ঢুকে পড়েছে। খাদ্য সংকটের পাশাপাশি নতুন করিডোরের সন্ধানে হাতিগুলো এখন ছোটাছুটি করছে। এসব কারণে এখন মানুষ-হাতির সংঘর্ষেও ঘটনা বাড়ছে।’


সরকার ঘোখিত ২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের আয়তন ছিল ১১ হাজার ৬১৫ হেক্টর। সাত বছরের মাথায় ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে উঠলে টেকনাফ ও উখিয়ার প্রায় ছয় হাজার একর পাহাড় কেটে ফেলা হয়। যার বিরূপ প্রভাব পড়ে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যের ওপর। আবাসস্থল ও বিচরণক্ষেত্র হারায় হাতিগুলো। স্থানীয় পরিবেশ, বনভূমি ও জীববৈচিত্র্যতা হুমকির মুখে পড়ায় পথ পরিবর্তন করে হাতিগুলো চট্টগ্রামের দক্ষিণ বন বিভাগের চুনতি অভয়ারণ্য হয়ে বাঁশখালী ও আনোয়ারার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।


বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক সংরক্ষণ বিভাগ) আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ বলেন, ‘হাতির করিডোরে ঘরবাড়ি নির্মাণ, গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করার কারণে লোকালয়ে হাতি আক্রমণ করছে। শুধু ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭১ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন। হাতির আক্রমণে বাকিদের কেউ আহত হয়েছেন, কারও কারও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা বসতির কারণে টেকনাফ এলাকায় বনভূমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাতির করিডোর নষ্ট হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন বসানো হচ্ছে। এই রেললাইনের কারণে হাতির করিডোর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’