Bangladesh
Rohingyas enter Bangladesh by calling themselves Thai
দুইদিন ছিল সাগরে ভাসমান। তারপর থাইল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছানোর কথা বলে টেকনাফ সৈকতের বালিয়াড়িতে তাদের নামিয়ে দেয় দালাল চক্র। জেলেদের দেয়া খবরে সেখান থেকেই তাদের উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর সংলগ্ন উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী। উদ্ধার ব্যক্তিরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। তারা হলেন- উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরের মোহাম্মদ ইয়াছিন (২২), বালুখালী ক্যাম্পের মো. ইসলাম (২৬), থ্যাংখালী ক্যাম্পের খাইরুল আমিন (১৮), একই ক্যাম্পের মোহাম্মদ রহিম উল্লাহ (১৬), জাকের আহমদ (১৯), কতুপালং ক্যাম্পের সাইদুল আমিন (১৯) তার ভাই মোহাম্মদ সুলতান (৪৫), ফরিদুল আলম (১৮), থাইংখালী ক্যাম্পের নুর বাহার (১৮), বালুখালী ক্যাম্পের বিবি খদিজা (১৮), মধুরছড়া ক্যাম্পের খুরশিদা (১৮), একই ক্যাম্পের রফিজা (১৮), থাইংখালী ক্যাম্পের আনোয়ারা বেগম (১৮) ও টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ হোসেন (১৭)।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি চক্র তাদের নৌকায় তুলে দুইদিন সাগরে ঘোরায় এবং ‘থাইল্যান্ড পৌঁছেছি’ বলে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সৈকতে নামিয়ে দেয়। মানবপাচারকারী একটি দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে টাকার বিনিময়ে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল রোহিঙ্গারা। টেকনাফের কচুবনিয়া ঘাট থেকে তাদের নৌকায় তুলে পাচারকারীরা গত দুইদিন ধরে সাগরে এদিক-ওদিক ঘোরায়। পাচারকারীরা বলেছিল, গভীর সাগরে একটি বড় জাহাজে রোহিঙ্গাদের তুলে দেয়া হবে। এর জন্য দালাল চক্রকে রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১০-২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল। দুই দিন সাগরে ঘোরানোর পর মঙ্গলবার ভোরে এই রোহিঙ্গাদের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে নামিয়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল তাদের উদ্ধার করে।