Bangladesh

Roushan to contest in two seats

Roushan to contest in two seats

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Nov 2018, 05:52 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২৮: ময়মনসিংহ-৪ ও ৭ (সদর ও ত্রিশাল) দুটি আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন এইচএম এরশাদের স্ত্রী পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

এ নিয়ে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতাশ। যদিও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে প্রার্থী হয়ে বিনাভোটে এমপি নির্বাচিত হন রওশন এরশাদ।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রওশন এরশাদ শেষ পর্যন্ত কোন আসনটি রাখবেন আর কোনটি ছাড়বেন নাকি দুটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন সেটি দেখার বিষয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসন থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসন থেকে ফকরুল ইমাম এবং ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান ত্রিশালের সংসদ সদস্য এমএ হান্নান। তখন থেকে আসনটিতে প্রার্থী সংকটে ভুগছিল জাতীয় পার্টি।

 

এ সুযোগে ত্রিশাল আসনে সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। এর পরপরই ত্রিশাল আসন থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। সোমবার বিকেলে তার পক্ষে মনোনয়ন ফরম দুটি সংগ্রহ করেন মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহম্মেদ।
এদিকে, নাটকীয়ভাবে রওশন এরশাদ ত্রিশাল থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় মাদানী সমর্থকদের মধ্যে এক রকম হতাশা নেমে এসেছে।

 

আবার অনেকে বলছেন, রওশন এরশাদকে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু এ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে একই ঘটনা ঘটেছিল।

 

তখন নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর জাতীয় পার্টির এমএ হান্নানকে আসনটি ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন সে সময়কার সংসদ সদস্য রেজা আলী। পরে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচনে লাঙলের বিপরীতে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন হাফেজ মাদানী।


জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, সদরের পাশাপাশি ত্রিশাল আসনেও শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে রওশন এরশাদের নাম ঘোষণা করা হবে। দলীয় মনোনয়ন পেলে শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করতে হবে রুহুল আমিন মাদানীকে। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে না নামলে বেগম রওশন নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে পারবেন কি-না এমন সংশয় রয়ে যাচ্ছে।