Bangladesh

রাজধানীতে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার নামে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার নামে প্রতারক চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

| | 25 Jun 2015, 06:19 am
ঢাকা, জুন ২৫- পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার বনানী থানার কাকলি এলাকা হতে ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়ার প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওরফে করিম, মোঃ আমিনুল হক, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রাসেল, মোঃ মনির হোসেন, মোছাঃ নওরিন জাহান, মোছাঃ শামীমা আক্তার ওরফে হামিমা ও মোছাঃ কাকলি আক্তার ওরফে পারভীন।


"এ সময় তাদের হেফাজত হতে একটি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যক্তির বায়োডাটা, ছবি, নিকাহনামার কপিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়," একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

 

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা প্রথমে রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে ম্যারেজ মিডিয়ার ভূয়া অফিস সাজায়।


পরবর্তী সময়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা প্রবাসী ভূয়া সুন্দরী মহিলাদের পাত্রী সাজিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

 

 

উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদের ভূয়া ম্যারেজ মিডিয়া চক্রের মূল হোতা দেলোয়ার হোসেন "ওরফে করিম এবং নওরিন জাহান যথাক্রমে ঘটক করিম ভাই ও রাহবার ম্যারেজ মিডিয়া নামে বাংলাদেশ প্রতিদিন, যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় পাত্র/পাত্রী চাই মর্মে চটকদারী বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রায় ৭-৮ বছর যাবৎ প্রতারনা করে আসছে। পরবর্তীতে উক্ত বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী প্রার্থীরা তাদের সাথে বিজ্ঞাপনে প্রদত্ত মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তারা তাদের চক্রের বিভিন্ন সুন্দরী মহিলাদের ছবি, জাল পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশনের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর কোন রেস্টুরেন্টে আগ্রহী প্রার্থীদের উক্ত মহিলাদের সাথে দেখা করানোর মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করে মোটা অংকের টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ভূয়া নিকাহনামার মাধ্যমে বিবাহ করিয়ে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে। তারপর উক্ত এলাকা থেকে সরে গিয়ে অন্যত্র অফিস খুলে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে," জানায় পুলিশ।

 

 

ডিসি (পশ্চিম) মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এর নির্দেশনায় এডিসি মোঃ সাইফুল ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহামুদ নাসের জনি এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।