Bangladesh
Sabrina, Sahed shared more similarities than simply business
তাদের মধ্যে ছিল গভীর ঘনিষ্ঠতা । পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদ ও সাবরিনা একে অপরের জানাশুনার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।
আগে থেকেই তারা একে অপরকে চিনতেন। নিয়মিত পার্টিতে অংশ নিতেন। সেই পার্টিতে চলতো ডিজে-মাদকতা। সাহেদ-সাবরিনা ছাড়াও সেই পার্টিতে সমাজের আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন। দু’জনেই দিয়েছেন আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়া সাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন ডা. সাবরিনা। করোনা সনদ জালিয়াতির পাশাপাশি প্রভাব খাটিয়ে এক ব্যবসায়ীর হোটেল জোরপূর্বক দখল করে ব্যবসা করত সাহেদ।
করোনাকালে দখল করা সেই হোটেলটি সরকারকে দিয়েছিলেন। উত্তরা ৬নং সেক্টরের পার্কের পাশের মিলিনিয়াম রেস্টুরেন্টটি রাজবাড়ীর এক বাসিন্দার।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাপানে ছিলেন। জাপানি এক নারীকে বিয়েও করেছেন। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে জাপানেই থাকেন। দেশে এসে তিনি ওই রেস্টুরেন্টটি করেন। পরে ২০১৯ সালে যৌথভাবে ব্যবসার জন্য রিজেন্টের সাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। চুক্তিতে বেশকিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন।
শর্তের মধ্যে ছিল সাহেদকে মাসে মাসে একটা ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু কিছুদিনের মাথায় সাহেদ সেই হোটেলের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। হোটেলের মূল মালিককে হোটেলে ঢুকতে দিতেন না। হোটেলটির নিচে খাবারের রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে জাপানি খাবারের আয়োজন করা হতো। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাপানি খাবার পছন্দ করতেন।
তাই তিনি ওই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যেতেন। সেখানে সাহেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। সাহেদের দখল করা হোটেলের ওপরে আবাসিক ব্যবস্থা ছিল। তাই প্রায়ই সেখানে আমোদ ফুর্তি ও মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হতো। সাবরিনা প্রায়ই এসব পার্টিতে অংশ নিতেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ। জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ায় হোটেলের মূল মালিক উত্তরা পূর্ব থানায় শাহেদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছিলেন।