Bangladesh
Sahed could not run due to his fat body
বুধবার ভোর রাত ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ইছামতী নদীর পাড়ে একটি নর্দমা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাব-৬ এর আওতাধীন সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পে। সেখান থেকে সকাল ৮টায় নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে। এরপর র্যাবের একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।
সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন র্যাবের এডিজি কর্নেল তোফায়েল আহম্মেদ। তিনি বলেন, আমরা তার (সাহেদ) গতিবিধি আগে থেকেই অনুসরণ করছিলাম। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করছিলেন সাহেদ। তিনি সীমান্ত নদী ইছামতী দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সেজন্য দালালদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। সাহেদকে যে দালাল সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছে তাকেও আমরা গ্রেফতার করব।
তিনি আরও বলেন, সাহেদের কাছ থেকে আমরা বিশেষ কিছু তথ্য পেয়েছি। সেগুলো উদঘাটনের জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে সে ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। পরে আবার ব্রিফ করে বিস্তারিত জানানো হবে।
সাহেদের বেশ পরিবর্তনের বিষয়ে র্যাবের এডিজি কর্নেল তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, চুলের রং পরিবর্তন করে সাদা চুল কালো করেছেন তিনি।
গোফ কেটে কালো করে ফেলেছেন। তার প্ল্যান ছিল মাথা ন্যাড়া করার। ভারতে গেলে হয়ত ন্যাড়া করে ফেলতেন।
র্যাবের এডিজি বলেন, সাহেদকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কাজে সহযোগিতা করছিল একজন মাঝি, সে সাঁতরে পালিয়ে গেছে। তবে সাহেদ করিম মোটা হওয়ায় হয়তো দৌড়াতে পারেননি। যার কারণে তাকে আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি। বোরকা পরা অবস্থায় নৌকায় উঠে পালিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে আমরা ধরে ফেলেছি। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।