Bangladesh
School teacher terminated over student's murder case
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী রোববার পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়ে।
এরপর সোমবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। স্বজনদের দাবি, ওই ঘটনার পর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে।
অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি করেছে।
উভয় কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এদিকে অরিত্রি অধিকারীর (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আজ বুধবার আবারও স্কুলে অবস্থান নেবে। তাদের তিন দফা কর্মসূচি হলো- ১. শিক্ষামন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু বিচার না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
২. সব পরীক্ষা বর্জন। ৩. বুধবার সকাল ১০টায় ফের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়া। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বিক্ষোভ ও অবস্থান শেষে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলের সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল।
রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠায়। সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।