Bangladesh

Security Council members not satisfied with Rohingya security issue

Security Council members not satisfied with Rohingya security issue

Bangladesh Live News | @@banglalivenews | 29 Apr 2018, 12:26 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা এপ্রিল ২৯: রাশিয়া ও চীন উভয়ই মনে করে রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধান নেই।

তাদের ভাষায় এটি একটি জটিল বিষয় এবং এর সহজ কোনও সমাধান নেই।

 

তবে এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার পক্ষে তারা।


রববিার (২৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখার পর এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়া ও চীনের প্রতিনিধি সাংবাদিকদের কাছে রোহিঙ্গা প্রশ্নে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।


রুশ প্রতিনিধি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সত্য, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। আমরা নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করছি।’ নিরাপত্তা পরিষদের সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রেজ্যুলেশনের সময় এখনও আসেনি। এটি শুধুমাত্র প্রেস স্টেটমেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।’


তিনি বলেন, ‘এখানে কোনও ম্যাজিক সমাধান নেই। তবে অবশ্যই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো এবং চেষ্টা করবো সবচেয়ে ভালো সমাধান খুঁজে বের করতে।’ রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা উৎসাহিত করি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমস্যাটির সমাধান হোক এবং আমরা চেষ্টা করছি দুদেশকে বোঝানোর জন্য, যাতে করে গঠনমূলক দর কষাকষি করে।’


একই সুরে চীনের প্রতিনিধি বলেন, ‘এটি একটি জটিল বিষয় এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, জাতিগত সত্তা।’ তিনি বলেন, ‘এর কোনও সহজ উত্তর নেই এবং আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এর সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে।’


অপরদিকে নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান চেয়ার রেুর রপ্রতিনিধি গুস্তাভো মেজা কোয়দ্রা বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি, রোহিঙ্গা  সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদ কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাখাইনে যাবো। সেখান থেকে নিউইয়র্কে ফিরে বিষয়টির মূল্যায়ন করবো। এরপর পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করবো।’

 

মিয়ানমারের বিররুদ্ধে অবরোধের বিষয়ে কুয়েতের প্রতিনিধি মনসুর আল উতাইবি বলেন, ‘এর কোনও দ্রুত সমাধান নেই। আমাদের এমন আশা করা উচিত হবে না যে, দ্রুত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেবে নিরাপত্তা পরিষদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু মিয়ানমারকে বলতে চাই, তারা যেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং মানবাধিকার পালনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করে।’


এ সফর থেকে তারা কী পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে পেরুর প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা এখানে যে বিশাল মানবিক বিপর্যয় হচ্ছে, সেই বিষয়ে অনুভব করতে পেরেছি।