Bangladesh
Sellers quote exorbitant rates for cattle as Eid nears
মন দৃশ্য রাজধানীর প্রতিটি হাটের। দুদিন আগেও যেখানে গরুর ব্যাপারীরা অবিক্রিত থেকে যাওয়ার শঙ্কায় সামান্য লাভে কিংবা সমান সমান দামে, এমনকি লোকসানে গরু বিক্রি করেছেন সেখানে আজ প্রতিটি গরুর দাম হাঁকছেন দ্বিগুণেরও বেশি। চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই পশুর দাম এমন চড়া। জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ করে হাটগুলোতে ক্রেতাদের ঢল নামে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাটগুলো গরুশূন্য হয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিন রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকারের মাঠের ৯৮ শতাংশ ফাঁকা পড়ে আছে, একটি গরুও নেই। ভলান্টিয়ার, হাসিল আদায়কারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রিলাক্সে চেয়ারে বসে আছেন।
মাঠের এক কোনায় কিছু সংখ্যক ছোট-বড় গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ব্যাপারীরা। এক একটি গরুর পাশে ৮/১০ জন করে ক্রেতা ঘিরে দাঁড়িয়ে। একজন দরদাম করে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য একটু পাশে যেতেই গরু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। গরু কেনার জন্য মানুষকে উদভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক দৌড়াতে দেখা যায়। কেউ কেউ মোবাইল ফোনে অন্য হাটের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।
অথচ মাত্র দুদিন আগেও হাটভর্তি গরু ছিল। ব্যাপারীদের চোখে-মুখে ছিল দুশ্চিন্তার ছাপ। কিন্তু আজ চিত্র ভিন্ন। আজ ক্রেতাদের চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ আর ব্যাপারীদের মুখে হাসি। এ সময় হাটে জীর্ণশীর্ণ কিছু সংখ্যক গরু আসতে দেখা যায়। সেই গরুগুলোও মুহূর্তের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়।