Bangladesh
Several tourists get stranded on St. Martin
এর আগে সকালে পর্যটকবাহী সাতটি জাহাজ প্রায় চার হাজার পর্যটক নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রওনা দিলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নাফনদের মাঝপথ থেকে আবার জেটিতে ফিরে আসে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, দ্বীপে বেড়াতে এসে আড়াই হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাদের বেশির ভাগেরই সোমবার দ্বীপ থেকে টেকনাফে ফিরে যাবার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোনো জাহাজ দ্বীপে আসেনি। সকাল থেকে জেটিঘাটে জাহাজের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন অনেক পর্যটক। তাদের অনেকের অর্থের সংকট রয়েছে বলেও শুনেছি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের থেকে আটকাপড়া পর্যটকদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, হঠাৎ দমকা হওয়ার কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার আশঙ্কা থাকায় সমুদ্রে সব ধরনের নৌযান চলাচল নিষেধ করা হয়েছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের টেকনাফস্থ ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, বৈরী আবহাওয়ায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সব পর্যটকবাহী জাহাজ নাফ নদ থেকে আবার টেকনাফ জেটিতে ফিরে আসে। এর আগে এসব জাহাজে করে দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া হাজারও পর্যটক সেখানে আটকা পড়েছেন। তাদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটক সাগর বলেন, পরিবার নিয়ে গত শনিবার সকালে জাহাজে করে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসেছি। সোমবার দ্বীপ ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপে কোনো জাহাজ না আসায় এখানে আটকা পড়েছি। দ্বীপে সবকিছুতে এখন অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।