Bangladesh
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে এইবার মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ফ্রান্সের কাছে সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি
ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ট বঙ্গভবনে আজ রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করতে গেলে ওনাকে এই কথাগুলি বলেন হামিদ।
আজ রাষ্ট্রপতির সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেছিলেন অবার্ট।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের আজকের বৈঠকের বিষয় বলেনঃ "বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হওয়ার পরেও শুধুমাত্র মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়েছে।"
"রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে রাষ্ট্রপতি এসময় মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে ফ্রান্সের সহযোগিতা চান," উনি আরও বলেন।
গত ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা মানুষ এই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
তারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পরে এই দেশে পালিয়ে এসেছেন।
আজকের বৈঠকের সময় রাষ্ট্রপতি আসা করেছেন যে বাগামি দিনে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়বে।
নিজের দায়িত্ব সাফল্যের সাথে শেষ করবার জন্য বিদায়ী দূতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হামিদ।
সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ফ্রান্সের বিদায়ী দূত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার আরেকবার মিয়ানমারকে এই দেশে পালিয়ে আসা নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
উনি বলেন যে রোহিঙ্গারা এই দেশে নিজেদের ঘর বাড়ি হারিয়ে এসেছেন তারা 'সাময়িক আশ্রয়' পাবেন।
"স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। ঘরবাড়ি হারিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এখানে এসেছেন, তাঁরা সাময়িক আশ্রয় পাবেন," হাসিনা বলেন।
তবে, প্রধানমন্ত্রী তাদের জানিয়ে দেন দেশে ফিরতে হবে।
"তাঁদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে," হাসিনা বলেন।
"আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে," প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই মানুষদের উদ্দেশ্যে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে আজ এই মানুষদের অবস্থা দেখতে গেছিলেন হাসিনা।
সেই সময় এই কথাগুলি উনি বলেছেন।
"‘মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা আপনাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা আপনাদের পাশে থাকব," হাসিনা বলেন।
হাসিনা রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেছেন।