Bangladesh
Sheikh Hasina and Narendra Modi to meet on October 5
৩ ও ৪ অক্টোবর ইকোনমিক ফেরামের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ৫ অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস সম্মেলন কক্ষে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত-মাহবুব উজ জামান আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজন অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক ও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান ড. মোমেন। তিনি বলেন, দিল্লিতে দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় ইস্যু উত্থাপন করবে। তবে কোন কোন বিষয় উত্থাপন করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে অবশ্য চলতি মাসে নিউইয়র্কের আসন্ন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোদির সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করবেন। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত সর্বকালের সেরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্বের প্রধান শক্তিধর দেশগুলো সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক ভালো বলেও উল্লেখ করে তিনি।
বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে ড. মোমেন বলেন, ব্রিটিশ পার্লমেন্টারি গ্রুপের সদস্যরা এসেছিলেন। বলেছি, উন্নয়ন ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, এশিয়ার ৪৫টি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি, ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। আমরা এ প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করা নিয়ে কাজ করছি। দেশের সুশাসন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকে আমাদের দেশ নিয়ে অভিযোগ করে যে, সুশাসনের অভাব। অবশ্যই দেশে সুশাসন ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে সুশাসন যদি ভালো না হতো, তবে তো এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব ছিল না। ফলে আমাদের সুশাসনে ভালো কিছু রয়েছে। আমরাও বলি যে আমাদের সুশাসনে দৈন্যতা ও দুর্বলতা রয়েছে।
দেশের অর্থনীতি বেশ গতিশীল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান, ভারত বা শ্রীলংকার তুলনায় বাংলাদেশের বিনিয়োগের রির্টান বেশি। আমাদের ডুয়িং বিজনেসে কিছু সমস্যা রয়েছে। ডুয়িং বিজনেসে ১৭৬ দিন না হয়ে কীভাবে ১৬ দিনে করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে সরকার।
নিজ মন্ত্রণালয়ে যথেষ্ট দুর্বলতা আছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অন্যের তুলনায় কিছুটা দুর্বল। তবে আমরা উন্নতি করছি। আমাদের এখানে বিভিন্ন সময়ে অনেক অভিযোগ আসে। অভিযোগ আসলে আমরা তা তদন্ত করি। এতে অনেক দিন লাগে।