Bangladesh

Sheikh Hasina confident about coming back to power by riding on the path of development

Sheikh Hasina confident about coming back to power by riding on the path of development

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 05 Nov 2018, 11:32 am
আসছে দেশের সাধারণ নির্বাচন তার আগে বেশ গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে উনি মনে করেন এই দেশের মানুষ উন্নয়নের পথ দেখলে আবার ওনার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে।

খুব শিগগিরি এই দেশের মানুষ ভোট দেবেন নতুন সরকার বেছে নিতে।

 

এই পরিবেশে, শেখ হাসিনা এমন একটি মন্তব্য করেছেন।

 

আমি বিশ্বাস করি গত ১০ বছরে আমরা দেশের যে উন্নয়ন করেছি তাতে জনগণ নৌকায় ভোট দেবে।’ রোববার রাতে ১৪ দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাত সোয়া ৮টায় বৈঠক শুরু হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জনগণ গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দখলকারীরা অবৈধভাবে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের নস্যাৎ করেছে। স্বাধীনতার যে স্বপ্ন ছিল সে স্বপ্ন তারা ধূলিস্যাৎ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২২ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন শুরু করে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কোনো উন্নয়ন করেনি। জনগণের ভোটাধিকার নষ্ট করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিএনপির কারণে আমরা যে উন্নয়নগুলো করেছিলাম তা থেকে দেশকে পিছিয়ে দিয়ে গেছে।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে দেশকে উনয়নের দিকে নিয়ে যায়, দারিদ্র্য হ্রাস করে। দেশের মানুষ আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখে। এসব উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের জনগণ আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির আমলে মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে দেশের জনগণকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছিল।’


সংলাপে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ জোটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।


সংলাপঃ


মানুষের কথা ভেবে নির্বানের আগে হাসিনা সংলাপেও বসেছেন।


হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারুক, তাদের মনমতো সরকার বেছে নিক- এসব বিষয় চিন্তা করে আমরা সংলাপে বসেছি।

অথচ তারা সংলাপের পাশাপাশি আন্দোলনেও যেতে চায়। তাদের এই পলিসি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। জানি না, দেশবাসী জাতি এটা কীভাবে নেবে? শনিবার বিকেলে ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সিমিন হোসেন রিমি ও এ কে এম রহমতুল্লাহ। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হোক, আমরা সেটাই চাই। নির্বাচন সামনে রেখে যখন ঐক্যফ্রন্ট চিঠি দিল আমাদের সাথে দেখা করার জন্য, তখন আমি সাথে সাথে স্বাগত জানালাম। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও যারাই দেখা করতে চাচ্ছে, আমরা করছি। ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট- দুটো গ্রুপের সাথে আমাদের মিটিং হয়ে গেছে। এরপর আরও সকলের সাথে আমরা করব। যারা আলাপ করতে চেয়েছে, সংলাপ করতে চেয়েছে, আমরা করেছি। একটা সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তারা যে সমস্ত দাবি-দাওয়া দিয়েছে, আমাদের পক্ষে যতটা মানা সম্ভব, আমরা বলেছি সেটা করব।


জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, রাজবন্দিদের তালিকা দেন। তাদের প্রতি যদি কোনো খুনের মামলা না থাকে, কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স তারা করে না থাকে, তাহলে অবশ্যই মুক্তি দেব। তবে আমরা কাউকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করি নাই। তাই যদি করতাম, তাহলে খালেদা জিয়া যখন ২০১৫ সালে মানুষ পুড়িয়ে মারল, তখনই তাকে গ্রেফতার করতে পারতাম। সেটা তো আমরা করিনি। কাজেই আমরা তো রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার করিনি।


খালেদা জিয়া ও তারেকের দুর্নীতি ‘আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক জিয়ার জন্য তো আমেরিকা থেকে এফবিআই এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে, আর খালেদা জিয়ার জন্য কয়েকটি কেইসে তারা সাক্ষী দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। আন্তর্জাতিকভাবেও প্রমাণিত যে এরা দুর্নীতিতে জড়িত।


ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ফের সংলাপ ৭ নভেম্বরঃ


ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ নভেম্বর বেলা ১১টায়।

সেখানে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কয়েকজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ থাকবেন। রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংক্ষিপ্ত আকারে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর দ্বিতীয় বার চিঠি দেন ড. কামাল। এরপর রাতে ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান। রাত সোয়া ৮টায় সংলাপ শুরু হয়ে শেষ হয় ১০টা ১০ মিনিটে।


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দল আগামী নির্বাচনেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এখন একসঙ্গে আছি আগামীতেও থাকবো। সামনে যে কোন লড়াই একসঙ্গে করব। কোন অপশক্তি যদি নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করে তাহলে ১৪ দল তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৪ দলের যারা ‘উইনেবল’ প্রার্থী তারা মনোনয়ন পাবেন।

খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার কি কোন আত্মীয় স্বজন মারা গেছে, না উনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। এর কোনটাই নয়, তাহলে প্যারোলে মুক্তি কেন? এভাবে মুক্তি নিয়েতো তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।


এদিকে, ১৪ দলের মুখপাত্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ১৪ দলের শরীকদের মধ্যে কে কয়টি আসন পাবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করবে। এ বিষয়টি আমরা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, এ ছাড়া ১৪ দল সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংবিধানের এক চুল বাইরে গিয়ে নির্বাচন হবে না। একটি গোষ্ঠী নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবেলা করব।


নাসিম বলেন, সারাদেশের প্রতিটি আসনের জরিপের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে আছে। সেই ফলাফল অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়ন পাবেন।