Bangladesh

Sheikh Hasina presents five-term agreement to combat weak finance

Sheikh Hasina presents five-term agreement to combat weak finance

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 04 Jul 2019, 07:31 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ৪ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই বিশ্ব গড়ে তুলতে এবং ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী অথবা অপেক্ষাকৃত দুর্বল অর্থনীতির মূল উদ্বেগ নিরসনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)-এর বার্ষিক সভায় অংশ নিতে এখন চীনের দালিয়ান শহরে অবস্থান করছেন। তিনি বুধবার বিকেলে ডালিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ডব্লিউইএফ-এর সভায় ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকালে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পাঁচ দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আমাকে বলছে যে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ও দুর্বল অর্থনীতিকে মাথায় রেখেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে।’ এগুলো হচ্ছে- প্রথমত: দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক শান্তি-সম্প্রীতি স্থিতিশীলুার পরিবেশ সৃষ্টি। দ্বিতীয়ত: টেকসই উন্নয়নের সব দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তৃতীয়ত: দেশগুলোর পারস্পারিক স্বার্থে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। চতুর্থত: সকলের জন্য সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে। পঞ্চমত: প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক বিশ্বের সবচেয়ে গতিশীল অঞ্চল বলে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। একইভাবে, বঙ্গোপসাগর একটি উদীয়মান ও সমৃদ্ধ অঞ্চল। এই অঞ্চলে ১.৫ বিলিয়ন লোকের বাস। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের আশপাশে বসবাসকারী মানুষের উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটিকে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে দেখার প্রবণতা রয়েছে।’

 

এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন।

 

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পৃক্ততা এবং বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চীনের ঋণ প্রদান বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক ঋণ মোট জিডিপি’র ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এটা শক্তিশালী অর্থনীতির একটি লক্ষণ। চীন আমাদের অবকাঠামোগত কিছু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এর আগে আমাদের সরকারের গত টার্মে (২০১৪-১৮) আমরা সাবলিলভাবে ভারত-চীন-জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ-রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছি।

 

তিনি বলেন, একটি দ্রুত বিকাশমান অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রত্যেক বন্ধু রাষ্ট্রকেই প্রয়োজন এবং অবশ্যই কাউকে বাদ দিয়ে নয়।

 

আমাদের প্রতিটি বন্ধুর মাঝেই দক্ষতা ও আগ্রহ রয়েছে। আমাদের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়ায় আমরা যা কিছু অর্জন করবো, সবটুকুই জনগণের কল্যাণে আসবে। যেমন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক শুধু মাত্র কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের প্রাণের সম্পর্ক। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনুতার জন্য আমরা একসঙ্গে রক্ত দিয়েছি।

 

শেখ হাসিনা বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও ভালো। আমাদের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে চীন আমাদের সঙ্গী। শুধুমাত্র ওডিএ অংশিদার ছাড়াও, জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে ভারত, জাপান, চীন এবং আরো অনেকের সঙ্গে কাজ করছে। এ কারণে আমরা লক্ষ্যভিত্তিকভাবে বিসিআইএম-ইসি এর পাশাপাশি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পথে এগোচ্ছি।