Bangladesh

Sheikh Hasina reaches Bangladesh

Sheikh Hasina reaches Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 30 Sep 2019, 11:54 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।

 প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি (বিজি-১২৮) মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।


বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রমুখ।


এরআগে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় তিনি আবুধাবি হয়ে দেশের উদ্দেশে নিইউয়র্ক ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (ইওয়াই-১০০) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা, সোমবার) আবুধাবির উদ্দেশে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে।


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।


সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে আবুধাবি ত্যাগ করেন। ফ্লাইটটি আজ মঙ্গলবার সকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।


প্রধানমন্ত্রী গত ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যান। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নিউইয়র্কে তিনি সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজিজ), পররাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদক সমস্যা বিষয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি মর্যাদাবান বিশ্ব পুরস্কার পান। যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়ন এবং টিকাদান কর্মসূচির বিরাট সাফল্যের জন্য যথাক্রমে ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ ও জিএভিআইয়ের ‘ভ্যাকসিন হিরো’।


জাতিসংঘের পাশাপাশি তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণমূলক অর্থায়নবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল অ্যাডভোকেট ডাচ রানি ম্যাক্সিমা ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের বিল গেটসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের দেয়া একটি স্বাগত অভ্যর্থনায় যোগ দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অভ্যার্থনা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কর্মার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।