Bangladesh
Sheikh Hasina starts campaigning for polls
দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ‘ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য’ মানুষকে উনি আবার একবার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নিজের প্রথম নির্বাচনী জনসভাতে আজ যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই মঞ্চ থেকেই উনি এই আহ্বান করেন।
হাসিনা বলেনঃ "আজকে যারা ওই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধে যাদের সাজা হয়েছে তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী, স্বাধীনতার শক্রু, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি-সন্ত্রাসীদের নিয়ে যারা আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।"
উনি বলেনঃ "যাদের যুদ্ধ করে আমরা পরাজিত করি, জাতির পিতাকে হত্যার পর তাদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল। যেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, তাদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে তাদেরকে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, উপদেষ্টা করে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল।”
উনি বলেনঃ "আর আমরা যারা আপনজন হারিয়েছিলাম, যখন মামলা করতে যাই মামলা করতে দেওয়া হয়নি। কারণ ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল। বিচার করা যাবে না।”
স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে যেন বাংলাদেশ না যেতে পারে বলেন আহ্বান করেন শেখ হাসিনা।
২০২১ পর্যন্ত ক্ষমতায় নৌকাকে রাখার আহ্বান করে হাসিনা বলেনঃ “কোটালীপাড়ার মাধ্যমে আমি সমগ্র দেশবাসীকে আহ্বান জানাব, আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেই সময় যেন ওই যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি, রাজাকার এবং যারা অগ্নিসংযোগকারী তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।"
দেশের মানুষকে ওনার দলকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে আহ্বান করে হাসিনা বলেনঃ "এটা আমরা প্রথম নির্বাচনী সভা। এই সভার মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে আবেদন জানাই, নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই।"
হাসিনা বলেনঃ "নৌকা মার্কায় যাকে যেখানে প্রার্থী করেছি, তাদের ভোট দেবার আবেদন জানাচ্ছি। নৌকায় ভোট দিয়ে কেউ কখনো বঞ্চিত হয় না। নৌকায় ভোট দিয়ে সবাই সুন্দর জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়।”
আজকের এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানা।
হাসিনা বলেন দেশের মানুষের ভাগ্য ওনার দল পরিবর্তন করতে পেরেছে।
আজকে পুরো স্থানেই শেখ হাসিনার সমরথনে বহু মানুষ এসে পৌঁছেছিলেন।
তারা হাসিনার সমর্থনে স্লোগান তোলেন।