Bangladesh

Sheikh Hasina to begin poll campaign from tomorrow

Sheikh Hasina to begin poll campaign from tomorrow

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 11 Dec 2018, 04:13 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ১১: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বুধবার (১২ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের পর নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবেন।

 সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ।
নানক বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা শুরু করবেন। প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় একটি জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এই বক্তৃতা শেষ করে আবারও  দুপুরেই কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবেন।’

 

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে নানক বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ব্যালটের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের বিরুদ্ধে রায় দেবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদতদাতা বিএনপি- জামায়াতের বিরুদ্ধে রায় দেবে। দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, অর্থপাচারকারী, এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দেবে।’


বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের আড়ালে বিএনপি কত টাকা বিদেশে পাচার করেছে প্রশ্ন তুলে নানক বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের অপদস্থ করা হয়েছে এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।


তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন শিবিরের কয়েকজন নেতা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। যা থেকে বোঝা যায়, বিএনপি এবং জামায়াত নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনও অর্জন তাদের নেই। তারা ক্ষমতায় থাকতেও দেশের কল্যাণ ও অগ্রগতিতে কোনও ভূমিকা রাখেনি, বরং দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল এবং বিরোধীদলে থেকে নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশের শত শত নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো তাদের কোনও নৈতিক ও যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তাই নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা ষড়যন্ত্রের পথে, চক্রান্তের মাধ্যমে, নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ ধরে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।’


নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর প্রকাশ করা হবে।’