Bangladesh

Sheikh Hasina wants to welcome members of the alliance: Kamal says no

Sheikh Hasina wants to welcome members of the alliance: Kamal says no

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Nov 2018, 12:09 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ১ : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ১৭ পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 আপ্যায়নের বিষয়টি তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী-১ (এপিএস-১) এবং প্রটোকলের চৌকস কর্মকর্তারা। কিন্তু গতরাতে ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকে নৈশভোজে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, খাবারের মেন্যুতে ড. কামাল হোসেনের বিশেষ পছন্দের খাবার চিজ কেক, পিয়ারু সর্দারের মোরগ পোলাও, চিতল মাছের কোপ্তা, রুই মাছের দো-পেঁয়াজা, চিকেন ইরানি কাবাব, বাটার নান, মাটন রেজালা, বিফ শিক কাবাব, মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজের ফ্রেশ জুস, চিংড়ি ছাড়া টক-মিষ্টি স্বাদের কর্ন স্যুপ, চিংড়ি ছাড়া মিক্সড নুডলস, মিক্সড সবজি, সাদা ভাত, টক ও মিষ্টি উভয় ধরনের দই, মিক্সড সালাদ, কোক ক্যান এবং চা ও কফি।

 

সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেনকে সংলাপের চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ তার পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানতে চান। তবে, ড. কামাল চিজ কেক ছাড়া বিশেষ কিছু বলেননি। এর আগের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ফোন করে আব্দুস সোবহানকে ড. কামালের পছন্দের খাবারের কথা জেনে আসতে বলেন।

 

আজ বৃহস্পতিবার ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নিতে গণভবনে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শরিকদের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত থাকবেন। সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনের নিচতলার কনফারেন্সে রুমে এ সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে।

 

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্ধারিত সংলাপে অংশ নিলেও নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এ তকথা জানান। তিনি বলেন, ‘দেশের একটি সংকটকালে আলোচনার জন্য আমরা গণভবনে যাচ্ছি; রাতের খাবার গ্রহণের জন্য নয়। আমরা আওয়ামী লীগকে জানিয়ে দিয়েছি যে, তারা যেন রাতের খাবারের আয়োজন না করেন।’

এ ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘যে সময়টা আছে, আমরা চাইছি, সে সময়টায় শুধু আলোচনা হোক। নৈশভোজে অংশ নিলে তো আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটবে। এই কারণেই নৈশভোজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর কোনও কারণ নেই। সময় তো খুব মূল্যবান।’