Bangladesh

Sheikh Hasina winning global attention by her development works in Bangladesh

Sheikh Hasina winning global attention by her development works in Bangladesh

| | 25 Apr 2018, 07:21 am
ঢাকা, এপ্রিল ২৫ঃ আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে পৃথিবীর বুকে এক গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

ওনার নেতৃত্বকে প্রশংসা করেছেন বহু নেতারা। 


এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্প কিছুদিন আগে ওনাকে প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, যেভাবে উনি রোহিঙ্গা বিষয়টিকে সামলেছে তা আজ এক অতুলনীয় উদাহরণ পৃথিবীর বুকে।

আর এই শক্তিশালী নেত্রীকে আবার একবার তার কর্মের জন্য পুরস্কৃত করতে চলেছে আন্তর্জাতিক মহল।

নারীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৭ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া সফরে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

 

আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রেলিয়া সফর ঘিরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে সিডনিতে ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৬-২৮ এপ্রিল এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।

 

এর আগে গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, চিলির সাবেক প্রসিডেন্ট মিশেল ব্যাশেলেট, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রসিডেন্ট মেরি রবিনসন।

 

অস্ট্রেলিয়া সফরে উইমেন সামিটে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে ২৮ এপ্রিল দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

 

সম্মেলনের সাইড লাইন বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে।

 
১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর গ্লোবাল উইমেন সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর টোকিওতে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়। 

এবারের সামিটের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রায় এক হাজারের বেশি প্রতিনিধি সামিটে অংশ নেবেন। 

বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরাও এতে যোগ দেবেন।


কিছুদিন আগে আরেকটি পালক জুড়েছিল হাসিনার গৌরবউজ্জ্বল পালকে। 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত '-'-এর করা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন-এর নামও রয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী দিপীকা পাড়ুকোনের নামও রয়েছে তালিকায়।


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার নাম অবশ্য নতুন নয়। ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা, যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিবিসি ওয়ার্ল্ডে গুরুত্ব সহকারে তার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।


বিভিন্ন সময়ে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’, জাতিসংঘ ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’, ডব্লিউআইপি (ওম্যান ইন পার্লামেন্ট) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড-এর মতো নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন।

সোমবার হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রশংসা করেন।

মোদী আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

সোমবার নয়াদিল্লিতে এই বৈঠকে মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তার সাহসী ও দৃঢ় নেতৃত্বের জন্য প্রশংসা করেন।
 
নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে জএ কথা বলা হয়।

বিজেপি’র আমন্ত্রণে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল রোববার ভারতে যায়।

সোমবার তারা মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাড়িতে যান ।
 
তাদের সঙ্গে আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন ভারতের সরকার প্রধান।

 বৈঠকে মোদীর সঙ্গে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে, যুগ্ম সচিব শ্রীপিয়া রঙ্গনাথন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ ধরে মোদী প্রতিনিধিদলকে বলেন, আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে গেছে।
 
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ভারত বাংলাদেশের অবস্থানকে সমর্থন করে বলে উল্লেখ করেন মোদী। এছাড়া তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে নিজের চেষ্টারও কথাও বলেন তিনি।