Bangladesh
Sinha writing a fictional tale: Kader
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেও বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন।
কাদের বলেন, তিনি সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কী পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন তা সবাই জানে। বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে কথা বলার কোনো প্রয়োজন আছে? ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক অন্তর্জ্বালার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, এস কে সিনহা এখন বইতে যা লিখেছেন, প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় তা বলার সৎ সাহস কেন তার ছিল না? এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরনো কথা নতুন করে বলছেন, যা খুশি তাই বলছেন। তিনি যদি সত্যই বলতেন, তাহলে যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন তখন বললেন না কেন? সত্য কথা দেশের জনগণের মাঝে এসে বললেন না কেন? এখন বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা চাপছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলে দলে জনে জনে যে ঐক্যের কথা আসছে, এতে করে কি জনমনে কোনো প্রভাব ফেলবে? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কি জনপ্রিয়তা কমে যাবে? আমার বিশ্বাস দলের সংখ্যা বাড়িয়ে এদেশে একসময় ৭৬ পার্টিও ঐক্য হয়েছিল। এটা কি জনমনে কোনো প্রভাব ফেলতে পেরেছে? আমাদের আস্থা আছে, বাংলাদেশের জনমত শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। নেতায় নেতায় ঐক্য হলেও জনতার মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী, এই মুহূর্তে জনমতে কোনো প্রতিফলন হবে না। নেতায় নেতায় ঐক্য, দলে দলে ঐক্য যতই হোক জনগণ প্রভাবিত হবে না। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা।
জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবও তাদের ডেকে ছিলেন। কিন্তু পরে জানা গেল, জাতিসংঘের মহাসচিব তাদের আমন্ত্রণ করেননি, এটা এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। তারা জাতিসংঘের প্রধান ফটকে গিয়ে বারবার অনুরোধ করে, একটা তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, প্রতারণা করেছে, তাতে দেশের জনগণকে অপমানিত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে অসম্মান করা হয়েছে।