Bangladesh
Sultan scripts Bangladesh victory
সারাদেশে যেখানে মহাজোট প্রার্থীর কাছে বাঘা বাঘা প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে সেখানে যে আসনে কখনো ধানের শীষ তিন থেকে দুইয়ে আসতে পারেনি সে আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ৭৯ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিটতটম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোটের প্রার্থী বিকল্পধারা বাংলাদেশের এম এম শাহীন পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৭০ ভোট।
হামলা-মামলায় কোনঠাসা হয়ে প্রচারের শেষ তিনদিন মাঠেই নামতে পারেননি সুলতান মনসুরের কর্মীরা।
কিন্তু ভোটের দিন নিরব ব্যালট বিপ্লবে জয়ী হয়ে আলোচনার তুঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি। ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যেখানে দাবি করে আসছেন সারাদেশে ভোট ডাকাতি হয়েছে সেখানে এই আসনে তার জয় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তার জয়ের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-মামলা-হামলা : প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল কিন্তু নির্বাচনী মাঠে প্রচারে নেমে প্রতিকূল অবস্থায় পড়েন সুলতান মনসুর।
বিভিন্ন ইউনিয়নে রাতের আঁধারে একের পর এক নৌকার অফিস ভাঙার অভিযোগে একেকটি মামলায় শত শত আসামি করা হয়।
গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াতে হয় সুলতান সমর্থকদের।
নৌকার সর্মথকদের দ্বারা সুলতান মনসুরের জনসভার প্যান্ডেল ভাঙচুর এবং উঠান বৈঠকেও পুলিশ লাটিচার্জ করে। দিনে দিনে গণসংযোগে কর্মীশূন্য হতে থাকেন তিনি।
অনেক সাধারণ মানুষ সুলতান মনসুরকে সমর্থন করে হয়রানির শিকার হন। ৫শ থেকে ৬শ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আটক হন পুলিশের হাতে। এই হামলা-মামলা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। তাদের ক্ষোভ জমে নৌকার প্রার্থীর প্রতি।
এই হামলা মামলা এবং হয়রানির জন্য সাধারণ জনগণ এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রচার করে এসবের নেপথ্যে এম এম শাহীন। তারা ভোটারদের কাছে প্রচার করতে থাকে একমাস আগেও এমএম শাহীন যখন বিএনপিতে ছিলেন আমরা তার কাছের মানুষ ছিলাম, তার জন্য দিনরাত কাজ করেছি কিন্তু ক্ষমতার জন্য তিনি আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছেন। এই হামলা এবং মামলা সুলতানের জন্য আর্শীবাদ হয়ে আসে।
প্রকাশ্যে নৌকার লিফলেট বিলি করেছেন আবার ভোটারদের কানে কানে সুলতানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন অনেক নৌকার কর্মী।