Bangladesh
Swapna building house with PM's awarded money
এখন ছোট মেয়ের ফুটবল থেকে উপার্জিত অর্থে বদলে গেছে পুরো পরিবারের চেহারা। ধানের ব্যবসা ছেড়ে জমি রেখে তা দেখাশোনা করছেন স্বপ্নার বাবা। ধান, আলু, মরিচ, পেঁয়াজ, আদাসহ অনেক ফসল ফলান মোকছার আলী।
জয়রাম গ্রামের বাড়িতে টিনের ঘর ছিল স্বপ্নাদের। এখন সেটা ভেঙে নতুন পাকা ঘর উঠেছে। গ্রামেও কদর বেড়েছে স্বপ্নার। বাড়ি গেলে অনেকে তাকে দেখতে আসেন। স্বপ্না বলেন, ‘৫-৬ বছর আগের স্বপ্না আর এখনকার স্বপ্নার মধ্যে অনেক পার্থক্য। ফুটবল আমার এবং আমার পরিবার বদলে দিয়েছে।’
২০১১ সালে স্বপ্না যখন রংপুরের ১ নং পালিচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, তখন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হয়ে অংশ নেন বঙ্গমাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে। রানার্সআপ হয় তাদের স্কুল। পরের বছর চ্যাম্পিয়ন। ২০১৩ সালে প্লানের ক্যাম্পে ডাক এবং তার পরের বছর বাফুফের ক্যাম্পে। দ্রুত স্বপ্নার ফুটবল ভুবনটা বড় হতে থাকে।
২০১৫ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৫ রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই বদলে যায় নারী ফুটবলে বাংলাদেশের রঙটা। ওই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ড তাজিকিস্তানে খেলেও চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। এভাবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাই পর্ব, অনূর্ধ্ব-১৮ তে বাংলাদেশ সেরা এবং সিনিয়র সাফে রানার্সআপ। এসব সাফল্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দু'হাত ভরে উপহার দিয়েছেন মেয়েদের। ১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পেয়েছেন মেয়েরা।
সিরাত জাহান স্বপ্না তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পেয়েছেন মোট ১৪ লাখ টাকা। একবার ১০ লাখ, আরেকবার ৩ লাখ এবং আরেকবার ১ লাখ। এর বাইরে বাফুফে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া মিলে স্বপ্নার অর্জন ২০ লাখ টাকার মতো। একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের চেহারা বদলে দেয়ার জন্য যে টাকা যথেষ্ট। তাই বদলে গেছে স্বপ্নাদের পরিবারও। স্বপ্না বলেন, ‘আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি। সবই হয়েছে ফুটবল খেলে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনেক দিয়েছেন। এটা ধারণারও বাইরে’।